ঝালকাঠি জেলার নলছিটি পৌরসভার মেয়র আবদুল ওয়াহেদ কবির খান এবং পৌরসভার সচিব এ.এইচ.এম রাশেদ ইকবালের স্বাক্ষর জাল করে চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে চার লাখ টাকা উত্তোলন কালে হাতেনাতে ধরা পরে পৌরসভার ক্যাশিয়ার রেখা বেগম ও তার স্বামী পৌরসভার ইলেকট্রিশিয়ান সিরাজুল ইসলাম সেলিম।
এঘটনায় পৌর মেয়র বাদী হয়ে সোমবার রাতে নলছিটি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এজাহারে মেয়র লিখেছে, তার কার্যায়ের ক্যাশিয়ার কাম ভারপ্রাপ্ত হিসাবরক্ষক রেখা বেগম সোনালী ব্যাংকের ০৩২৭৭০২০০০৪৯৯ নম্বর একাউন্টের একটি চেকের পাতায় মেয়র এবং সচীবের স্বাক্ষর জাল করে ‘মেসার্স সুগন্ধা এন্টারপ্রাইজ’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের নামে চার লাখ টাকার একটি চেক প্রস্তুত করেন। চেক থেকে টাকা উত্তলনের জন্য সোমবার দুপুরে ক্যাশিয়ার রেখার স্বামী একই পৌরসভায় ইলেক্ট্রিশিয়ান পদে কর্মরত সিরাজুল ইসলাম সেলিম ওরফে টুলু এবং সুগন্ধা এন্টারপ্রাইজের মালিক এ.বি.এম জাহিদুল ইসলাম ব্যাংকে যায়।
সোনালী ব্যাংক নলছিটি শাখা ব্যবস্থাপক মো. আনসার আলী খান চেকের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য মেয়রকে মুঠো ফোনে কল দিলে মেয়র এমন কোনো চেক ব্যাংকে পাঠায়নি বলে জানান। ব্যাংক ম্যানেজার টুলু ও সিরাজকে কৌশলে বলে দেন চেকটি পরিবর্তন করে আনার জন্য।
তারা চেক পরিবর্তন করতে পৌর কার্যালয়ে ক্যাশিয়ারের কাছে যায়। সেখানে তাদের ৩ জনকে আটকে থানা পুলিশকে খবর দেয় মেয়র। পুলিশ ৩ জনকে আটক করে সন্ধ্যায় থানায় নিয়ে আসে। রাত ৯ টার দিকে নলছিটি থানায় এবিষয়ে ৩ জনকে আসামী করে একটি এজাহার দাখিল করেন পৌর মেয়র আব্দুল ওয়াহেদ কবির খান।
পৌর মেয়র বলেন, সচিব এবং তার স্বাক্ষর জাল করে ‘মেসার্স সুগন্ধা এন্টারপ্রাইজ’ নামে চার লাখ টাকা যে চেকটি ব্যাংকে দাখিল করেছে সেটি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেননা। তার এবং সচিবের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে।
নলছিটি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, মেয়রের দায়েরকরা এজাহারটি রাতেই মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছো। আগামীকাল সকালে আসামীদের আদালতে পাঠানো হবে।