উৎপাদন খরচ কমিয়ে দেশের কৃষকদেরকে লাভবান করতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন দাতা ও উন্নয়নসহযোগীদের আপত্তি উপেক্ষা করে কৃষিখাতে বিশাল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি ও প্রণোদনা হিসেবে ধারাবাহিকভাবে দিয়ে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
মন্ত্রী শনিবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি ‘পারিবারিক কৃষি ও কৃষক: সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি উৎপাদনকে কৃষকদের জন্য লাভজনক করতে কাজ করছে। দেশের বেশির ভাগ কৃষকই পারিবারিক, ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষি। সেজন্য কৃষিকে লাভজনক করতে সরকার ক্রমাগতভাবে কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। উৎপাদন খরচ কমাতে ইতোমধ্যে চার বার সারের দাম কমিয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে সারের দাম এখন অনেক কম। সেচ,বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণও সহজলভ্য করেছে সরকার। এছাড়া, ৫০-৭০% ভর্তুকিতে কৃষকদেরকে দেয়া হচ্ছে ধান কাটা, মাড়াইসহ বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র।
ধান চাষ এখন লাভজনক উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, এসব প্রণোদনা প্রদান ও চাল আমদানিতে শুল্কারোপসহ সরকারের সময়োপযোগী উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছর ধরে কৃষকেরা ধানের ভাল দাম পাচ্ছেন ও ধান চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।
আম,আনারস,শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসল চাষ কৃষকদের জন্য লাভজনক করতে বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তাদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের ভিতরে ও বাইরে এসব কৃষিপণ্যের বাজারকে আরও বিস্তৃত করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তাদেরকে কৃষি প্রক্রিয়াজাতে বিনিয়োগ করতে হবে।
এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এ সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে এএলআরডির চেয়ারপার্সন খুশি কবির, সিপিবির রুহিন হোসেন প্রিন্স, এএলআরডির আজিম হায়দার, রওশন জাহান মনি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এতে উপকারভোগী, নাগরিক সমাজ,মিডিয়া,এনজিওসহ বিভিন্ন অংশীজনের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।