যশোরের শার্শায় জামতলা বাজার হতে দুই থেকে তিন কিলো পশ্চিম দিকে অবস্থিত মাথলা নদী কাগজে-কলমে মাথলা নদী নামে থাকলেও বর্তমান মাথলা বিলে পরিণত হয়েছে তাই এখন মানুষ মাথলার
বিল নামে চিনে, এই মাথলা বিল গত সপ্তাহে ছিল একেবারে পানিশূন্য মরুভূমিতে পরিণত, এসমস্ত এলাকার চাষীরা গত সপ্তাহে পাট কাটা ও যাক দেওয়া নিয়ে ছিল বড় বিপাকে এমন মন্তব্য করলেন
টেংরা গ্রামের মোঃ মহব্বত আলী তিনি বলেন প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কয়েক বিঘা পাট লাগিয়েছি পানি না হওয়ার ফলে পাট পচানো বা জাক দেওয়ার ব্যাপারে তিনি এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন গত সপ্তাহে সাংবাদিক মোঃ ফজলুর রহমানের সাথে ঠিক তার তিনদিন পরে ভারী বর্ষণে রাস্তার দুইপাশে পানি একেবারে কানায় কানায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বেশ কিছু মানুষের, যে সমস্ত চাষীরা গত সপ্তাহে আমন ধান রোপন করেছিল এদিকে এক নজরে ছুটে আসেন পানি দেখতে নানান পেশায় কর্মরত বা কর্মহীন মানুষ,সরকার ঘোষিত দুই সপ্তাহ লকডাউনের ফলে দোকানপাট বন্ধ থাকায় দর্শনার্থী হিসেবে আসেন মাথলার বিলে।
একদিকে মাছ ধরায় ব্যস্ত একশ্রেণীর মানুষ কেউ বা মাছ ধরা কেউ বা ঝাড়ণ তৈরি কাজে ব্যস্ত কেউ বা জাল ফেলেছে কেউবা দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছে সব মিলিয়ে বেশ ভালো লাগছে বলেন অনেকে
মোঃ আশরাফুল ইসলাম তিনি,মধুমতি নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি
মোঃ ফজলুর রহমান কে বলেন এটা আমাদের এলাকার বিল গতকাল থেকে মাছ ধরার ঝাড়ণ তৈরি করা হচ্ছে এখানে প্রচুর মাছ হয় ১০ থেকে ১২ টা গ্রামের পানি চলে এই ব্রিজের তল দিয়ে গ্রামের গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষেরা মাছ ধরে খায় এখান থেকে আবার অনেকে মাছ ধরে বিক্রি করে সংসার চালায়, এখানে ভালো মাছ হয় গত বছরে অনেক বেশি মাছ হয়েছিল সেই তুলনায় এবছর মাছের ভাগ কম হবার সম্ভাবনাই বেশি তবে মাছ হবে ইনশাল্লাহ
মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন প্রতিবছরের ন্যায় আমি আজ আবার এখানে মাছ ধরতে এসেছি তবে এখন মাছ সীমিত আকারে হচ্ছে তার একমাত্র কারণ এই বিলের সংযোগ মহিষাকুড়া খাল দিয়ে, সেতাই, কাইবা এবং রুদ্রপুর হয়ে ভারতের ইচ্ছামতী নদী সাথে সংযোগ সেই কারণে দক্ষিণ থেকে কিছু মাস স্রোতে উঠছে তাই খেপলা বা কারেন্ট জালে মারা পড়ছে তিনি আরো বলেন এবছর পানি একটু দেরিতে হওয়ায় মাছ
পর্যাপ্ত ডিম বাচ্চা করায় বাধাগ্রস্ত হওয়ায়, এ বছর মাছ কম হওয়ার সম্ভাবনা বলে আমি মনে করি।