মোহাঃ ফরহাদ হোসেন,কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের শারিরিক পরিবর্তনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে মাসের নিদিষ্ট সময়ে ঋতুস্রাব বা মাসিক হয়। তবে এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকেই নিষিদ্ধ সময় হিসেবে ভাবা হয়। ফলে এ নিয়ে শুরু হয় রাখঢাক। সচেতনতার অভাবে এ সময় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়া হয় না। ফলাফল হিসেবে জরায়ু মুখ ও প্রজনন অঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক দেখা দেয়। যার ফলে দীর্ঘমেয়াদী কুফল বয়ে বেড়াতে হয় সারাজীবন। তাই এ বিষয়ে লজ্জা নয়, কথা বলতে হবে। নিজে সচেতন হতে হবে। অন্যদেরকেও সচেতন করতে হবে। গতকাল রবিবার বিকাল ৪ টায় কয়রা উপজেলায় মাসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস উৎযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপজেলা লেডিস ক্লাবের সভাপতি বিপাশা বিশ্বাস প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। উপজেলার সুন্দরবন বালিকা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের হলরুমে লাইটশোর ফাউন্ডেশন ও অপরাজিতা যুব কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে এবং সেনোরা এর সহযোগিতায় এ দিবসটি পালন করা হয়। সভায় মাসিক নিয়ে কথা বলা শুরুর পাশাপাশি মাসিক ব্যবস্থাপনার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সব জায়গায় নারীদের জন্য আলাদা টয়লেট, টয়রেটে সাবান, পানি, ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার বাক্স এবং সচেতনতা তৈরিতে জাতীয় পর্যায়ে ক্যাম্পেইনের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুন্দরবন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলম,আইসিডির প্রতিষ্ঠাতা আশিকুজ্জামান আশিক প্রমুখ। উল্লেখ্য শাকবাড়ীয়া স্কুল এন্ড কলেজে শনিবার ও রবিবার সুন্দরবন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মুন্ডা সম্প্রদায়ের ২০০ কিশোরী দের মাঝে বিনামূল্যে ন্যাপকিন বিতরণ করা হয়। এবং উপকূলবর্তী যে সকল প্রতিষ্ঠানে ন্যাপকিন বক্স নেই সে সকল প্রতিষ্ঠানে সেনোরার সহযোগিতায় ন্যাপকিন বক্স দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।