উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড’র আইটি ম্যানেজার নজরুল ইসলাম, জেজেএস’র ক্রেইন প্রকল্পের মনিটরিং ও ডকুমেন্টেশন অফিসার আলী হায়দার, মোংলা উপজেলার উপজেলা কো-অর্ডিনেটর তরুন বড়ুয়া, ইউনিয়ন ফ্যাসিলিটেটর মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ ওয়াসিও আকরাম খাঁন ইমরান প্রমূখ।ক্রেইন প্রকল্প ২০২০ সাল থেকে মোংলা উপজেলায় ৫,৬৩৪ জন উপকারভোগীদের নিয়ে সরাসরি কাজ করে যাচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে ক্রেইন প্রকল্প থেকে ১ টি পৌরসভা ও ৬ টি ইউনিয়ন, প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে দুইশত পরিবার করে সর্বমোট চৌদ্দশত পরিবারকে ৪৫০০ টাকা প্রদান করেছে। শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন সবজির বীজ, হাত ধোঁয়ার উপকরণ, সচেতনতামূলক সেশন, পুষ্টিকর খাবার রান্না সহ গর্ভবতি মহিলা ও ৫ বছরের নিচে শিশু ও শিশুর মায়েদের পুষ্টির চাহিদা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে।
ক্রেইন প্রকল্পের উপকারভোগী নূপুর আকতার বলেন, জীবনে এই প্রথম আমি ক্রেইন প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণ, সবজীর বীজ ও ছাগল পেলাম।আমার বসতবাড়ীতে বীষমুক্ত সবজী উৎপাদন করে আমার পরিবারে পুষ্টির চাহিদা মেটাচ্ছি। আজকে যে ছাগল পেয়েছি সেটা আমি যত্ন সহকারে লালন পালন করবো।
ক্রেইন প্রকল্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড’র সহযোগিতায় জেজেএস, রুপান্তর ও ওয়াটার এইড’র মাধ্যমে বাগেরহাট জেলার ৪ টি উপজেলায় মোংলা, মোল্লাহাট, কচুয়া ও শরণখোলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।মিঠাখালি ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা ইউনিয়ন ফ্যাসিলিটেটর মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আজকে এই ইউনিয়নে ২৯ জন অতিঝুকিপূর্ণ উপকারভোগীদের মাঝে ২৯ টি ছাগল বিতরণ করা হয়েছে এবং আরও ১১৩৫ জন উপকারভোগীদের মাঝে ৪ টি করে হাঁস ( ৩ টি হাঁসি ও ১ টি হাঁসা) চলতি মাসের মধ্যে বিতরণ করা হবে।