কাশিয়ানী উপজেলায় চায়না ম্যজিক জাল দিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে ছোট ছোট রেণুপোনা সহ রুই, কাতলা, বোয়াল, বাঘাইড়, আইড়, চিতল , গ্লাস কাপ ও অন্যান্য সকল প্রকার মাছ নিধন।
কাশিয়ানী বিভিন্ন জায়গায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অভিযানে চায়না জাল পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এখনো
কাশিয়ানীর বেথুড়ীয়া,ওরাকান্দি,রাজপাট,পুইশুর, সাজাইল,রাতল ,ফুকরা ইউনিয়নের বিভিন্ন জলাশয়ে,খালে,ডোবা জায়গায়,নালার ধারে এই চায়না ম্যাজিক জাল ব্যবহার করে আসছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত ধরা পড়েছে এসব মাছ ও জলজ প্রাণী। যার ফলে ভবিষ্যতে কাশিয়ানীতে বড় ধরনের মাছের সংকটে পড়ার আশঙ্কা করেছেন বিশিষ্ট জনেরা।
প্রশাসনের দৃষ্টিগোচরে এ সকল কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন কিছু সংখ্যক মাছ বিক্রেতা রাতের আধারে এ সকল কর্মকান্ড করেন বলে জানা গেছে।বিশেষ কায়দায় তৈরী চায়না ফাঁদ ব্যবহারকারী এক জেলে বলেন,দেশীয় কারেন্ট জালে মাছ আটকে কাটা পড়ে মারা যায়, দামও কম পাওয়া যায়, জাল থেকেও মাছ ছাড়ানো কষ্টকর ও অনেক সময়ের ব্যাপার।
চীনের আবিস্কার এই বিশেষ ‘চায়না ফাঁদ নামক জালে’ ছোট-বড় সকল প্রকার মাছই আটকা পড়ে। মাছ বের করে আনাও সহজ এবং তাজা থাকে, দামও বেশি পাওয়া যায়। আষাঢ় মাস থেকে আশ্বিন পর্যন্ত এই চার মাস নদী-নালা, খাল-বিল, নামা জায়গাতে প্রচুর মাছ ধরা পড়ে।
স্থানীয়রা বলেন, আমাদের এলাকায় এই জালের ব্যবহারের কারণে মুক্ত জলাশয়ের মাছ শেষের পথে, এখন আর আগের মত মাছ দেখা যায় না। হাতের নাগালেই এই জাল পাওয়া যায় বলে এলাকার শত শত মানুষ এখন জাল বিভিন্ন যায়গা থেকে কিনে আনছে।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা ও ইউপি মেম্বার সদস্যরা যাতে করে সকল কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকে জেলেরা মাছ বিক্রেতারা