বাকপ্রতিবন্ধি যুবক নয়ন হত্যা মামলায় আশানুরূপ অগ্রগতি নেই
খন্দকার তরিকুল ইসলাম, যশোর প্রতিনিধি
আপডেটঃ
সোমবার, ২ আগস্ট, ২০২১
১১৩
বার পড়া হয়েছে
যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা ইউনিয়নের টাওরা গ্রামে গত ২৪ জুলাই বিকালে ফুটবল খেলায় একটি গোল করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নয়ন নামে একজন বাকপ্রতিবন্ধি যুবক কে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে মেম্বার গোলাম সরোয়ার ও তার গ্রুপের সদস্যরা এবং উক্ত হামলায় আরো ৫ জন কে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে উক্ত হত্যা মামলায় মেম্বার গোলাম সরোয়ার সহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো ১০ থেকে ১৫ জনের অজ্ঞাত করে একটি হত্যা মামলা করেন নিহত বাকপ্রতিবন্ধি নয়নের চাচা টাওরা উত্তরপাড়ার আকবর হোসেন মামলার আসামিরা হলো ঃ- ১. গোলাম সরোয়ার ৫২ পিতা- মৃত আবদার আলী, ২. আমিনুর রহমান পিতা- জাকির হোসেন, ৩. জাহিদ হাসান ৪. অমিত হাসান অভয় পিতা- গোলাম সরোয়ার, ৫. মেহেদি পিতা আব্দুল মালেক, ৬. রাকিব পিতা- আব্দুল খালেক, ৭. চয়ন পিতা- শাহজাহান, ৮. শাহজাহান পিতা- হেদায়েতুল্লাহ, ৯. মামুন ১০. হাসান অভয় পিতা- মসলেম আলী, ১১. রিয়াজ পিতা- আব্দুল হান্না, ১২. হৃদয় পিতা- মৃত মুক্ত ১৩. জসিমউদ্দিন পিতা- আনসার আলী দফাদার, ১৪. আলাউদ্দিন পিতা- হোসেন আলী ১৫. রুবেল ১৬. সাকিব অভয় পিতা- আব্দুল মালেক, ১৭. তপু পিতা- মশিয়ার, ১৮. নূর হোসেন পিতা- মৃত মোস্তফা সর্ব সাং নীলকণ্ঠনগর ঝিকরগাছা সহ ১০ থেকে ১৫ জনের অজ্ঞাত আসামী করা হয় এর মধ্যে ৩ জন গ্রেফতার হয় ৮ নং আসামী শাহজাহান পিতা- হেদায়েতুল্লাহ ১০ নং আসামী হাসান পিতা- মসলেম এবং ১৫ নং আসামী রুবেল পিতা- আব্দুল মালেক, এদিকে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে নয়ন হত্যার পর গ্রামে এক ধরনের নিরবতা পরিবেশ দেখা বেশির ভাগ আসামীর বাড়িতে তালা মেরে পলাতক রয়েছে। প্রতিবেশি এক মহিলা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান ঘটনার পর থেকে মেম্বার এবং তার পরিবার পলাতক কোথায় আছে আমরা জানি না। সেদিনের হামলার ঘটনার মারাত্মক আহত শামিম বলেন সেদিন চোখের সামনে বাকপ্রতিবন্ধি নয়ন কে কুপিয়ে হত্যা করে আমি কেন রকম বেচে গেলেও নয়ন বাচতে পারিনি এই হত্যা ঘটনায় দায়ের করা মামলার মুল আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় আমরা আতংকে আছি আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানায় হত্যা মামলার সকল আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।
মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ঝিকরগাছা থানার এস আই মেজবাহ উউদ্দীন কে ফোন দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ না করায় মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়নি।