খুলনার কয়রায় ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মৃতি সংসদ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করা হয়েছে। শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের হায়াতখালি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে খালের পানি সরবরাহের জন্য বঁাধে পাইপ বসানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই পরিবারের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানটিতে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার মার্কার প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ছিল। গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হয়ে কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এবং ইউপি নির্বাচনে মহারাজপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ তুলে ধরেন। লিখিত অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, খুলনা জেলা পরিষদের সদস্য জহুরুল হক বাচ্চু তার নিজস্ব সম্পত্তিতে ২০১৮ সালে ওই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন। এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি তার নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুমতি নেন। এ অবস্থায় শনিবার রাতে একদল দুর্বৃত্ত সেখানে হামলা চালায় এবং আসবাবপত্র ভাংচুর করে। প্রতিষ্ঠানটির কক্ষে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টানানো ছিল। হামলার সময় দুবর্ৃত্তরা সেসব ছবিও ছুড়ে ফেলে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করলে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত খঁুজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান। এদিকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শি সূত্রে জানা গেছে, মহারাজপুর ইউনিয়নের শাকবাড়িয়া খালে পাইপ বসানোকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার বিশ্বাস এবং মোড়ল পরিবারের মধ্যে সংঘর্স বাঁধে। এ সময় এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ধাওয়া করলে তারা পার্শ্ববর্তি হায়াতখালি বাজারের অবস্থিত বেগম ফজিলাতুন্নেছা স্মৃতি সংসদে আশ্রয় নেয়। পরে প্রতিপক্ষের লোকেরা সেখানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালায়। এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্রসহ বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি এলোপাতাড়িভাবে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল হোসেন বলেন, ঘটনার পর পরই সেখানে পরিদর্শন করা হয়েছে।এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে অভিযান চলছে।