আবু আবদুল রহমান নামের এক সৌদি নাগরিকে তার এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে চুরি হয়ে গেল তার নতুন জুতা জোড়াটি। এই খবর বেশ মজা করে ছাপা হলো সেখানকার একটি পত্রিকায়” গলফ্ নিউজে” দুঃখজনক হলেও সত্য জুতার মালিক আবু আবদুল রহমান জুতার জোড়াটি কেনার পর ঐ দিনই তিনি প্রথম পরেই ঐ বিয়ে বাড়িতে যান।
২০০৬ সালের দিকের ঘটনা, জুতা চুরি হয়ে যাওয়ার প্রায় ৮ বছর পর আবু আবদুল রহমান তার অফিসে বসে নিজের জরুরি কাজ সারছিলেন, হঠাৎ খুব তড়িঘড়ি করে এক অপরিচিত যুবক তার অফিসের ঢুকে একটি খাম দিয়ে দ্রুত বেরিয়ে গেলো।
কিছুক্ষণ পরে আবু আবদুল রহমান, বেশ অবাক হয়ে খামটির দিকে তাকিয়ে দেখলেন, এবং খামটি খলে দেখলেন একটি কাগজে কম্পিউটার টাইপ করে চোরটি লিখেছে, আমি আট বছর আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আপনার নতুন জুতার জোড়াটি চুরি করে বেশ অনুতপ্ত, তাই এই পবিত্র রমজান মাসে আপনি আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। আমি খুব অনুতপ্ত আমি বুঝতে পেরেছি আপনার নতুন জুতার জোড়াটি চুরি করা আমার খুব অন্যায় হয়েছে, তাই আমি ক্ষতিপূরণ হিসেবে খামের মধ্যে আপনার জুতার জোড়ার দাম ৫০০ রিয়াল দিয়ে গেলাম, জুতার মালিক আবু আবদুল রহমান বেশ বিস্ময় প্রকাশ করলেন বেশ কিছুটা অবাক ও হলেন, কেননা তার জুতার দাম ৫০০ রিয়াল এর অধিক হবে না।
অবশ্য জুতার মালিক আবু আবদুল রহমান অনেক আগেই চোরকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, অনেকদিন পর চোর যখন তার ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চেয়ে চোর চিঠি লিখে জুতার মালিকের অফিসে এসে তার দাম দিয়ে গেল, তখন তিনি ভাবলেন চোর হলেও তার এলেম আছে। তাই জুতার মালিক আবু আবদুল রহমান চোরের জন্য আবারো ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহর কাছে।
অবশেষে জুতার মালিক দীর্ঘদিন পরে তার চুরি যাওয়া জুতার দাম ৫০০ রিয়াল ফেরত পেয়ে খুশি হয়ে চোরের সমুদয় অর্থ একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান দান করে দিলেন। অবশ্য চোরটি তার চিঠিতে লিখেছিল আবু আবদুল রহমানের নতুন জুতা জোড়া টি চোর তার নিজের জন্য চুরি করেনি সে একজন অভাবী মানুষেকে জুতার জোড়াটি দান করেছিল।
(সমাপ্ত)
উপদেশ: বিবেকের দংশন মানুষকে সৎ পথ দেখায়।