ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনির সঙ্গে আটক হয়েছিলেন তার গাড়িচালক নাজির হোসেন। র্যাবের হাত থেকে ছাড়া পেলেও তিনি ঠিক করেছেন আর কখনো নামীদামি মানুষের গাড়ি চালানোর চাকরি নেবেন না তিনি। এর আগে গত ৪ আগষ্ট বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে পরীমনির সঙ্গে নাজিরকেও আটক করেছিল র্যাব। সে কথা মনে হতেই তিনি বলেন, কী যে হয়ে গেল, তা বুঝতে পারলেন না।
করোনাভাইরাস মহামারিতে বেকার হয়েপড়া নাজির দুই মাস আগে পরিচিত একজনের মাধ্যমে পরীমনির গাড়ি চালানোর চাকরিটা পেয়েছিলেন। আজ সোমবার তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, চাকরি নেওয়ার পর থেকে ভালোই ছিলেন। অল্প সময় ডিউটি করতে হতো, বাকি সময় বাসতেই থাকতেন। যখন প্রয়োজন হতো ফোন দিলে নামিয়ে বা পৌঁছে দিয়ে আবার বাসায় চলে যেতেন।মহাখালীর বাসিন্দা নাজির জানান, পরীমনির কথিত মামা আশরাফুল ইসলাম দিপুর ফোন পেয়ে গত বুধবার তিনি বনানীর বাসায় যান। দীপু বলেছিলেন, পরীমনি ডাক্তার দেখাতে যাবেন। কিন্তু গিয়ে পড়েন র্যাবের অভিযানের মধ্যে। র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। ২৪ ঘণ্টা আটক থাকার পর ছাড়া পান তিনি।
পরীমনি জামিনে বের হলে তার গাড়ি চালাবেন কি না, জানতে চাইলে নাজির বলেন, তিনি গরিব মানুষ, ঝুঁকিমুক্ত উপার্জন করতে চান। এমন কোনো নামীদামি মানুষের চাকরি করবেন না, যার ফলে তাকে বিপদে পড়তে হবে।
এ সময় গাড়িচালক নাজির হোসেন অভিযোগ করেন, বেতন দিতে তাকে ঠকিয়েছেন আশরাফুল ইসলাম দিপু। মাসে ১৫ হাজার টাকা পাবেন জেনেই চাকরি নিয়েছিলেন। সেই বেতনই তিনি পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু র্যাব ধরে নিয়ে যাওয়ার পর দিপুর স্বীকারোক্তিতে নাজির জানতে পারেন, তার বেতন ১৮ হাজার ছিল। কিন্তু দিপু তাকে ১৫ হাজার দিতো। বাকি তিন হাজার টাকা তিনি আত্মসাৎ করতেন।পরীমনির কাছে বেতনের কথা জিজ্ঞাসা না করার কারণ সম্পের্কে তিনি বলেন, দিপু সব সময় পরীমনির সঙ্গে গাড়িতে থাকত। তাই তিনি জিজ্ঞাসা করার সুযোগই পাননি।উল্লেখ্য, পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে তার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকেও। পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক আইনে যে মামলা হয়েছে, সেখানে দীপুও আসামী।