ঘড়িতে রাত ১১ টা ১০ মিনিট, গণভবনের রাস্তার দুপাশে গাছ, ফুল ফুলেরাও যেন ঘুমিয়ে গেছে। পুকুরটা শান্ত। প্রকৃতি যেন বিশ্রামে। কিন্তু জেগে আছেন বাংলাদেশের অভিভাবক, যার পরিচয় শুধু প্রধানমন্ত্রী নয় তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই মানুষটার জন্যই টিকে থাকে আশার শেষ সম্বল হীন পথিকও।
শেখ হাসিনার দিন শুরু হয় সুবেহ সাদিকের আগে উঠেই তিনি তাহাজ্জুতের নামাজ পরেন। ফজর নামাজ তারপর কোরআন শরীর পাঠ। আগে সাধারণত, সকাল নয়টার আগেই তিনি গণভবন থেকে বেরিয়ে পরতেন। হয় কোনো অনুষ্ঠানে অথবা মন্ত্রিসভা কিংবা একনেকের সভার জন্য, মানুষের কল্যাণে পরিশ্রম করা, নির্ঘুম রাত কাটানো নতুন কিছু না তাঁর জন্য। দৃশ্যত অলশ সময় বলতে আমরা যা বুঝি তেমন সময়ও উনি দেশের কথা, মানুষের কল্যাণের কথাই ভাবেন। আর বর্তমান পরিস্থিতি তো একেবারেই ভিন্ন, তাই আগের চেয়ে বেশি সময় দিচ্ছেন।
গণভবনে অবস্থান করে, তিনি দেশের সব কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সবকিছুতেই বাড়িয়েছেন কঠোর নজরদারি। কখন, কোথায় কী করতে হবে সব কিছুরই নির্দেশ দিচ্ছেন। যখন যা প্রয়োজন তখন সেই ব্যবস্থাই নিচ্ছেন। কাকডাকা ভোর থেকে মধ্য রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রধানমন্ত্রী। ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ, ভিডিও কলের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতির খোঁজখবর নিচ্ছেন।
তৃণমূলের ছোট্ট কর্মীটিরও নাম জানেন শেখ হাসিনা। প্রত্যেকের সুখ দুঃখের খবর রাখেন শেখ হাসিনা, যত কর্মীর নাম জানেন তার অর্ধেক নামও কোনো আওয়ামী লীগ নেতা বলতে পারবেন না। তাইতো দেশের সব ভার তো তাঁরই ওপর, দলের সব জঞ্জাল সরাতে হয় তাঁকেই। তাঁর কাছেই সবার চাওয়া তাঁকে, দেওয়ার তো কেউ নেই। এতো ভার নিয়ে তিনি ঘুমাবেন কীভাবে
শেখ হাসিনা জেগে আছেন বলেই তো বাংলাদেশ জেগে আছে। এই ক্রান্তিকালিন সময়ে তাঁর সাহস, বিচক্ষণতা ও দূরদৃষ্টি নেতৃত্বই ভরসার স্থল। চারদিকে এত হতাশার মাঝেও তাই আশার প্রদীপ জ্বলে।