দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হজ্বযাত্রীদের সহজে হজ্বে যাতায়াতের সুবিধার্থে হিজবুল বাহার জাহাজ ক্রয় করে হাজীদের হজ্বে যাতায়াতের কষ্ট লাঘব করেন। তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠানের জন্য টঙ্গীতে বিশাল জায়গা বরাদ্দ দেন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গঠন করেন। ইসলামের প্রচার-প্রসার ও গবেষণার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। যার ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমেই ১০১০টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২১ পালন উপলক্ষে আজ ১৮ আগস্ট বুধবার বাংলাদেশ দারুল আরকাম শিক্ষক কল্যাণ সমিতি খুলনা বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে গিলাতলা দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় আয়োজিত “ইসলামের খেদমতে বঙ্গবন্ধুর অবদান” শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতী জয়নুল আবেদীন এসব কথা বলেন।
খুলনা বিভাগীয় সভাপতি হাফেজ মাওলানা ইয়াসীন আলীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুফতী মুনাওয়ার হোসাইন, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক-৩, মুফতী আহমদ কবির, খূলনা বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শেখ আল আমিন, মাওলানা ফিরোজ আহমদ, মুফতী আবু ওবায়দা, মুফতী শাব্বীর আহমদ, মাওলানা ইয়াকুব আলী, চুয়াডাঙ্গা জেলা সভাপতি মুফতী ইউনুস আলী, সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি মাওলানা জয়নাল আবেদীন সহ বিভাগীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন এবং অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন বলে মাননীয় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মহোদয় স্পষ্ট জানিয়েছেন। অতএব সকল শিক্ষকগণকে হতাশ না হয়ে বর্তমান করোনা দুর্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও করোনা রোগীদের সেবা এবং করোনা পজেটিভ লাশ দাফন সহ সকল জরুরী সেবা মূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।নেতৃবৃন্দ দারুল আরকাম প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সদয় সহানুভূতি কামনা করেন।