নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামিলীগ এর উদ্যোগে ২০০৪ সালের ২১ শে আগষ্টের ঢাকার কেন্দ্রীয় আওয়ামিলীগ ৩২ বঙ্গবন্ধু সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে অফিসে সামনে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সহ শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদীয় উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর রাজনৈতিক প্রতিনিধি নেত্রীর কনিষ্ঠ পুত্র শাহাদাব আকবর লাবু চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামিলীগ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সোবহান চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মিয়া, মহিলা আওয়ামিলীগ এর সভানেত্রী আঞ্জুমানয়ারা বেগম, নগরকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরদার, ভাইস চেয়ারম্যান চুন্নু শেখ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার রিটা। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মধ্যে ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামিলীগ এর চেয়ারম্যানেরা সহ বাংদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ (কমান্ড কাউন্সিল) নগরকান্দা উপজেলা শাখার সকল নেতাকর্মী ও স্থানীয় আওয়ামিলীগ সকল স্তরের নেতাকর্মীদের নগরকান্দা উপজেলার মিলিয়াতনে দোয়া ও শোকসভায় উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্যে আওয়ামিলীগ নেতারা ততকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদাজিয়া ও তার সন্ত্রাসী পুত্র তারেক জিয়া ও সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বাবরের সমালোচনা করে বলেন মুলত এরাই ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্টের বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে সমূলে শেষ করে দেওয়ার উত্তশরী ও ২০০৪ সালের ২১শে আগষ্টের জননেত্রী শেখ হাসিনার উপরে গ্রেনেড হামলা কারী কুশীলবদের অন্যতম। এ শোক শক্তিতে পরিনত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশে আর তাদের ও তাদের দোসরদের কোন স্থান নেই আর হবেও না।সেদিনে যা ঘটনা ঘটে ছিলো তার সংক্ষিত বর্ননা করেন শাহাদাব আকবর লাবু চৌধুরী,
২০০৪ সালের সারাদেশে জঙ্গিদের বোমা হামলা এবং গোপালগঞ্জে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে ২১ আগস্ট বিকেলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে বিকেল পাঁচটায় পৌঁছালে, একটি ট্রাকের ওপর তৈরি মঞ্চে তিনি কুড়ি মিনিটের বক্তৃতা শেষে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা মঞ্চ থেকে নিচে নেমে আসতে থাকেন।
ঠিক এমন সময় শুরু হয় মঞ্চ লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা। মাত্র দেড় মিনিটের মধ্যে বিস্ফোরিত হয় ১১টি শক্তিশালী গ্রেনেড। এতে ঘটনাস্থলেই ১২ জন এবং পরে হাসপাতালে আরও ১২ জন নিহত হন।
এ ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক জিয়া, চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু, হরকাতুল জিহাদ প্রধান মুফতি হান্নান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে অন্য মামলায় মুফতি হান্নানসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড হওয়ায়, তিনজন ছাড়াই বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।