পটিয়ায় ৩’শ কার্তুজ উদ্ধার মামলার আসামী জসীম উদ্দিন(৩০) কে গ্রেফতার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। ২৭ আগষ্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় উজিরপুর গ্রামের একটি দোকান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে।সে উপজেলার উজিরপুর গ্রামের অলি আহমদ প্রকাশ ছালামত খাঁর পুত্র। ২৮ আগষ্ট
শনিবার পুলিশ ধৃত আসামী জসিমকে আদালতে প্রেরণ করলে বিচারক দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে থানার ওসি তদন্ত রাশেদুল ইসলাম জানান।উল্লেখ্য, গত ৭ই এপ্রিল রাতে পটিয়া থানার এসআই মুক্তার হোসেনসহ একদল পুলিশ পটিয়া উপজেলার ৯নং জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের উজিরপুর গ্রামের মেম্বার সিরাজুল ইসলামের পুত্র নজরুল ইসলাম (সোহেল) এর বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে জসীমের ঘরের দু’তলা থেকে ৩০০ রাউন্ড কার্তুজ( নতুন প্যাকেটভর্তী) উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ জসীমের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে। এরপর থেকে সে পলাতক ছিল। গতকাল গোপন
সংবাদেও ভিত্তিতে পুলিশ জসীম তাঁর বাড়ির সামনে একটি দোকানে বসে আড্ডা দেওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, গ্রেফতারকৃত জসীম কার্তুজ উদ্ধার মামলার অভিযুক্ত আসামী। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে আমজুরহাট এলাকা গ্রেপ্তার করেন। ২৮ আগষ্ট আদালতে প্রেরণ করা হলে বিচারক
দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। প্রসঙ্গ, এ ঘটনায় অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনের মা ১৬ জুন সামশুন নাহার সংবাদ সম্মেলনে প্রকৃত আসামীকে আড়াল করে তার ছেলেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ এনে গতবুধবার(১৬ জুন) দুপুরে পটিয়ার একটি রেস্তোরায় এক সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তাঁর মা বলেন, গত ৭ই এপ্রিল রাতে পটিয়া থানার এসআই মুক্তার হোসেনসহ একদল পুলিশ পটিয়া উপজেলার ৯নং জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের উজিরপুর গ্রামের মেম্বার সিরাজুল ইসলামের পুত্র নজরুল ইসলাম (সোহেল) এর বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে সোহেলের বসত ঘরের দু’তলায় ধানের গোলা থেকে ৩০০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। এ সময় সোহেলের চাচা লিয়াকত আলী (বাসু) কে হেফাজত কর্মী হিসেবে পুলিশগ্রে ফতার করে। পুলিশ সোহেল এর ঘর থেকে বস্তাবর্তী বন্ধুকের কার্তুজ (নতুন প্যাকেট ভর্তি) উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী আমার ঘরের ২য় তলায় নিয়ে আসে।
কিন্তু পুলিশ মামলায় দেখায় যে আমার ঘর থেকে কার্তুজ গুলো উদ্ধার করেছে। এতে মোক্তার হোসেন সোহেল এর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আমার ছেলে জসীম উদ্দীনের নাম জড়িত করে। এ সোহেল গুলি গুলো তাঁর বলে সী¦কারোক্তির একটি বেশ কয়েকটি অডিও রেকর্ডও রয়েছে। যাহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে সঠিক সুষ্ট-তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গত ১৫ জুন জসিমের মা সামশুন নাহার চট্টগ্রাম ডিআইজি ও পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু সে অভিযোগের এখনো আলোর মুখ দেখেনি?
অপরদিকে সোহেলের পিতা তাঁর ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করছে বলে আরেকটি পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন। সব মিলিয়ে পটিয়ার সচেতন মহল মনে করেন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তদন্ত হওয়ার উচিত। জসিম এর মা জোর দিয়ে বলেন বিষয়টি তদন্ত করলে তার ছেলে জসিম নির্দোষ প্রমানিত হবে এবং প্রকৃত আসামি ধরতে সহজ হবে। সে এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম ডিআইজি, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার, স্বরাষ্ট মন্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জসিম এর স্ত্রী তার স্বামী সম্পুর্ন এঘটনায় নির্দোষ দাবি করে জসিম এর মুক্তির দাবি জানান এবং চট্টগ্রাম ডিআইজি ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ সুষ্ঠ দাবি করে প্রকৃত অপরাধী সোহেল -ফাহিমকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞেসাবাদ আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি স্বরাষ্ট্র মন্রীসহ উর্ধতন পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন যার মধ্যে চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার ও ডিআইজি বরাবরে একটি অডিও দিয়েছে বলে জানান।