সাবেক সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা পলাশ মুন্নু গং দের বিরুদ্ধে প্রাননাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ।
যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের মাথাভাঙা গ্রামের গত ২৩ আগষ্টে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয় সনাতন ধর্মের পলাশ বিশ্বাস ও তার ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী দিপা বিশ্বাস। এবিষয়ে গুম করার অভিযোগে যশোর সদর কোতয়ালী মডেল থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনের অভিযোগ করেন নিখোঁজ পলাশ বিশ্বাস এর শশুর নিরন্জন হালদার। বেশ কিছু মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশের পর নিখোঁজ হওয়ার ৪ দিন পর সদর কোতয়ালী মডেল থানায় হাজির হন নিখোঁজ হওয়া পলাশ ও তার স্ত্রী। পুলিশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেন। তারা বাড়িতে আসলে সরেজমিন কথা হলে পলাশ বিশ্বাস জানায় তারা মুলত গুম হননি প্রাননাশের হুমকি পাওয়ার পর মুলত প্রান বাচাতে আত্বগোপনে ছিলেন। কার কাছ থেকে এবং কেন হুমকি পেয়েছিলেন এমন প্রশ্নে জবাবে পলাশ ও তার স্ত্রী দীপা কাদতে কাদতে বলেন মুলত আমাদের বসত ঘরের জায়গা দখলে নিতে স্থানীয় সাবেক সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী পলাশ, মুন্নু সহ এলাকার উঠতি বয়সী সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে এসে আমাদের বিভিন্ন ভাবে প্রাননাশের হুমকি দিতে থাকে এবং আমাদের জায়গা ছেড়ে চলে যেতে বলে আমরা চলে না যাওয়ার কারনে তারা আমার বাড়িতে লাগানো ফলজ ও বনজ সমস্ত গাছ কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেন। আমি ছোট ছোট গাছ কাটতে বাধা দি বিকালে যখন বাজারে যায় তখন নূরে আলম পলাশ, মুন্নুর নেতৃত্বে ৫/৬ জন রাম দা দেশিও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য মাথাভাঙা বাজার থেকে ধাওয়া করে আমি দৌড়ে কোন রকমে প্রান বাচিয়ে সেদিন দিবাগত রাতে আমার এবং আমার পরিবারের জীবন আশংকা থেকে স্বপরিবারে আত্বগোপন করি আমরা এখনও প্রচন্ড ভয় আর আতংকে দিন পার করছি ভয়ে কাজেও যেতে পারছি না। তিনি আরো বলেন এবিষয়ে সব থেকে বেশি ইন্ধন দিচ্ছে আমার সৎমা ও কিছু সার্থান্বেশী মহল কারন আমার বসত ঘরের জমির লোভে। আমার বসত ঘরের জমিটা বাজার সংলগ্ন হওয়ায় এই জমির লোভে এবং যেকোন মুল্যে জমিটুকু দখল করতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রতিবেশি আন্না বিশ্বাস নামে একজন মহিলাকে জানতে চাইলাম কে কারা পলাশ বিশ্বাসের পরিবার কে হুমকি দিচ্ছে আপনারা কিছু জানেন তিনি বলেন আমরা একা না গ্রামবাসীর সবাই জানে তারা কারা জানতে চাইলে আন্না বিশ্বাস বলেন আমি মুখে নাম নিতে পারবো না কারন আমার ছোট ছোট বাচ্চা আছে, ওরা তাদের ক্ষতি করতে আগে পিছে ভাববে না এই সন্ত্রাসীরা। আশেপাশে ঘুরেও ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী এসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনারও দাবী জানান। পলাশ বিশ্বাস তার ছোট ছোট ফলজ ও বনজ গাছ যারা কেটে নিয়েছে তাদের শাস্তি দাবী ও ক্ষতিপূরণ দাবী করেন এবং নিজের ও পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।