নিজস্ব সংবাদদাতা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমন হালদার কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দিয়েছেন ৫নং কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার জয়ন্ত আচার্য্য ।গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে ফোন করে এসব হুমকি ও গালিগালাজ করেন। লেখাপড়া শিখে শিক্ষিত হইছ কেন, তুমি লেদাইয়া লেদাইয়া কি বলতে পারো জানি, তোমার ফ্যামিলির সাথে এত ঝগড়া কেন ইত্যাদি বলে হুমকি দেন।কেস করে কি করতে পারো দেখি? ইত্যাদি বলে পরদিন যাওয়ার আশ্বাস দিলেও গাঁ ঢাকা দেন তিনি।
জানা যায়,ঐ এলাকার উত্তর কীর্ত্তিপাশায় রতন ঘরামির সাথে সুমনের মায়ের সামান্য বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।এক পর্যায়ে উত্তেজিত রতন,তার ভাই আশু ও আশুর ছেলে আশীষ সহ ৪/৫ জন তাকে মারতে বাড়ির কাছে ছুটে আসেন। এলাকাবাসী তাদের বাঁধা দিলেও তারা অনেক গালিগালাজ করতে থাকে।এ সময় সুমন বলেন, পারলে মার।এই বলে তিনি মেম্বার কে ফোন করে ঘটনা জানান।তার ২ মিনিট পর মেম্বার ফোন দিয়ে সুমনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।তার মাকে বলে, আপনার পোলারা এত মাতছে কেন? ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হয়ে রতনের পক্ষ নিয়ে উল্টো গালিগালাজ করেন।
জানতে চাইলে সুমন বলেন, জয়ন্ত কাকা আমার সম্মানিত ব্যক্তি।তার সাথে আমার কোন শত্রুতা নেই।আমি আশু রতনদের কিছু না বলার পরও কাকা কেন আমাকে গালাগালি করেন ও হুমকি দেন আমার জানা নেই। আমি তার ছেলের মত।তিনি ঘটনা তদন্ত না করে মনগড়া কথা কেন বললেন সেটা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে জয়ন্ত আচার্যের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।তাই তার বক্তব্য জানা যায়নি।উল্লেখ্য আশু ও রতন ঘরামি জয়ন্ত আচার্য্যের পক্ষে নির্বাচন করেন।আশু ঘরামি এর আগেও মাদক মামলার আসামি ছিলেন।