লালমনিরহাট সদর উপজেলায় মাসুদ রানা নামের একজন চা বিক্রেতা। চায়ের দোকানের আয় দিয়ে পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ পাঁচজনের সংসার চলে তার।কিন্তু করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠ্যাকাতে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ এর কারণে সংসারের আয়ের একমাত্র উৎস চায়ের দোকানটিও বন্ধ হয়ে যায়। এতে খেয়ে না খেয়ে কষ্টে কোনো রকম দিন কাটছিল তাদের।
এরই মধ্যে মাসুদের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম প্রতিবেশী কাছে জানতে পায়, ৩৩৩ নম্বরে কল করলে খাদ্য সহায়তা দেয় সরকার।বুধবার দুপুরে ৩৩৩ নম্বরে কল করেন তিনি। সেখান থেকে কল আসে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার রায়ের কাছে।
ইউএনও স্যার, আঞ্জুয়ারা বেগমের নম্বরে কল করে সব জেনে বিকেলেই খাদ্য সহায়তা নিয়ে তাঁর বাড়িতে হাজির হন। খাদ্য সহায়তা হিসেবে মাসুদের পরিবার পায় ১০ কেজি চাল, পাঁচ কেজি আলু, দুই লিটার তেল, ১ কেজি ডাল ও দুই কেজি পেঁয়াজ ও দুই হালি ডিম।
খাদ্য সহায়তা পেয়ে অত্যন্ত খুশিতে মেতে উঠেন গৃহবধূ আঞ্জুয়ারা ও স্বামী মাসুদ । তারা বলিন, এতো তাড়াতাড়ি ত্রাণ পাওয়া যাবে আমরা ভাবতেই পারি নি।আমি কল দেওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যেই চাল-ডাল নিয়ে স্যার হাজির হইছে। এই ত্রাণ দিয়ে তাও হামার পরিবারের ১০-১৫ দিনের খাবারের যোগাড় হইবে।’
লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার রায় বলেন, ‘হটলাইন থেকে ভুক্তভোগীর মোবাইল নম্বর নিয়ে কল করলে ওই গৃহবধূ বলেন যে তাঁর স্বামীর চায়ের দোকানটি কয়েক দিনে লকডাউনে কারনে বন্ধ আছে।বতর্মান কাজ কর্ম না থাকায় খাদ্য সংকটে আছেন তাঁরা। এজন্য আমরা বিকেলেই কিছু খাদ্যসামগ্রী নিয়ে তাঁর বাসায় ধরে আসি।’তিনি আরো বলেন, মানুষ না খেয়ে আছে এমন সংবাদ পেলে আমরা পেলে সঙ্গে সঙ্গে তার কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিবো।