ডিবি পুলিশ তাদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার ২৬ বছর বয়সী এক নারী একসময় ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেই একই প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতেন গ্রেফতার হওয়া মনির। এর আগেও প্রতারণার মাধ্যমে একাধিক বিয়ে করা মনির ওই নারীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ ও তার নম্বরে ফোন দিয়ে মিথ্যা পরিচয়ে কথা বলতে থাকে। কথাবলার এক পর্যায়ে মনিরের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ওই নারীর।
মনির নারীর কাছে কিছু অশ্লিল ছবি ও ভিডিও চাইলে ভিক্টিম তা দিতে অসম্মতি জানায়। মনির কৌশল হিসেবে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে সে আবারও ওই নারীর সাথে যোগাযোগ শুরু করে ও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে হোয়াটস এপে একটি নগ্ন ভিডিও নেয়। এবং সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে ওই নারীর কাছে বিশ হাজার টাকা দাবি করে মনির। পরে ভিকটিম বিভিন্ন সময়ে বিকাশের মাধ্যমে আট হাজার টাকা অভিযুক্তকে পাঠায়। এক পর্যায়ে মনিরের চাহিদা বেড়ে গেলে ওই নারী বগুড়া ডিবি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে্ন। পরে ডিবি পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্য মনিরকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে।
ডিবি পুলিশ আরও জানায়, গ্রেফতার মনিরের কাছ থেকে পাওয়া মুঠোফোনে ভিকটিম ওই মেয়েসহ একাধিক মেয়েদের সাথে তার করা সাইবার অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে।বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) সাইহান ওলিউল্লাহ জানন, মনিরের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় পর্ণগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও সে একজন পেশাদার প্রতারক। প্রতারণা মাধ্যমে একাধিকবার বিয়েও করেছে মনির।