মাসুদ রানা সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃসিরাজগঞ্জে মন্দিরে মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। করোনা আতঙ্ক থাকলেও আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে সংক্রমণ ও মৃত্যুহার কমায় প্রতিমা তৈরির কাজে নেমে পড়েছেন তাঁরা।
হিন্দুদের কাছে সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরির জন্য মৃৎশিল্পীদের কাছে চাহিদা আসতে শুরু করেছে।এ জন্য সময় মতো প্রতিমা সরবরাহের জন্য সিরাজগঞ্জে সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বাড়তি ৩ থেকে ৪ জন শ্রমিক নিয়েরাতদিন করছেন মৃৎশিল্পীরা। অন্য সময় কৃষি কাজসহ বিভিন্ন কাজ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেন।
সদর উপজেলার বাগ বাটি ইউনিয়নের হরিণা গোপাল এলাকার মৃৎশিল্পী সুবত চন্দ্র কাওয়ালী, নির্মল চন্দ্র কাওয়ালী, বাগ বাটি গ্রামের জীবন কুমার পাল বলেন, ‘বাপ-দাদার পেশা আঁকড়ে ধরে আছি। মৃৎশিল্পীদের কেউ খোঁজখবর নেয় না। প্রতিবছর দুর্গা উৎসব আসলে কিছু টাকার মুখ দেখি।’ তারা দুজনেই এ বছর ৬টি প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। প্রতিমার মূল্য ১৪ হাজার থেকে ১৭ হাজার টাকা করে নেবেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী সন্তোষ কুমার কানু বলেন, ‘১১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে সিরাজগঞ্জ জেলায় সম্ভাব্য ৫ শত ৪৫টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় উৎসব পালন করব। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ার কারণে আমরা বড় দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ঈশ্বরের কৃপায় করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু কমায় পূজার আয়োজন চলছে। শারদীয়া দুর্গা উৎসব যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সে জন্য প্রশাসনের কাছে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।