বসুন্দিয়া (যশোর)যশোরঃ সদর উপজেলার ১৫নং বসুন্দিয়া ইউনিয়নের সাদুল্লাপুর-কিফায়েতনগর বাজারে মাহবুবুর নামে এক চিকিৎসক গত মাসখানিক পূর্বে এখানে ছিল হঠাত উধাও। সচেতন মহলের প্রশ্ন কে এই ভন্ড চিকিৎসক মাহবুবুর? কি তার পরিচয়? মাহবুবুর এর চাল চলন, ওঠা বসা, দেশের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় জায়গা বদলসহ রহস্যজনক ঘোরা ফেরা সমাজের সচেতন মহলের বদ্ধমূল ধারনা ভন্ড চিকিৎসক মাহবুবুর একজন জে, এম, বি এর সদস্য। তথ্যে প্রকাশ, এই মাহবুবুর কখনো নিজেকে একজন এম,বি,বি,এস চিকিৎসক কখনো ডি, এইচ, এম, এস(ঢাকা), কখনো বা হারবাল চিকিৎসক কিংবা কবিরাজ, ঝাড় ফুক কোনো কিছু চিকিৎসা শাস্ত্র বাদ নেই তার। মাহবুবুর নিজেকে এম,বি,বি,এস(ইন্ডিয়া) ক্রমিক ডিজিম হোঃ এন্ড বায়োকেমিক মেডিসিন বিশেষগ্য, মা ও শিশু উপসহকারী মেডিকেল অফিসার (ঢাকা) এ্যাপোলো জেনারেল হাসপাতাল, ফরিদপুর মর্মে চিকিৎসক প্যাড,সিল,হ্যান্ডবিল ব্যবহার করছেন। এছাড়া অশ্ব,গেজ,(পাইলস্) ফিস্টুলা,পলিপাস, যৌন,চর্ম বাত প্যারালাইসিস,কিডনি পাথর,পিত্ত পাথর,টিউমার,ক্যান্সার,নাক, কান, গলা,বাত ব্যাথাসহ মানব দেহের যাবতীয় জটিল রোগ বিনা অপারেসসনে ইন্জেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করে এবং প্রতি রোগীর নিকট থেকে ২০০০টাকা থেকে৫০০০টাকা নিয়ে থাকে। ডাঃ মাহবুবুর রহমানের নিজের তৈরী নকল ঔষধ এর বোতলে অক্সফো্র্ড ও ইন্ডিয়ার নামী দামী ঔষধ কোম্পানির লেবেল লাগানো থাকে। মূলত এর ভিতরে রয়েছে মাহবুবুর নিজের তৈরী নকল ঔষধ আর এ ঔষধ বা ইন্জেকশন ব্যবহারের ফলে রোগীর রোগ তো সারেই না আরো মৃত্যুমুখে পতিত হয়। এভাবে মাহবুব কর্তৃক বহু রোগী প্রতারিত হচছে।তিনি কখনো নিজেকে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তি যোদ্ধা লীগ সিনিয়র সহসভাপতি, ঢাকা মগানগর দক্ষিণ, যাত্রাবাড়ী। আবার কোনো সময় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোয়েন্দা সংবাদ সোসাইটি স্পেশাল কো-অর্ডিনেটর। দৈনিক বাংলার ডাক,স্টাফ রিপোর্টার। পরিচালক মেডিকেল ডিপ্লোমা ট্রেনিং ইন্সটিটিউট,ঢাকা। ভারতের প্রখ্যাত চিকিৎসক বলে নিজেকে কার্ডধারী পরিচয় দিয়ে থাকে।এবং দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় অবস্থান করে রোগীদের প্রতারনার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে রাতের আধারে পালিয়ে যায়।এভাবে নতুন নতুন জায়গায় গিয়ে প্রতারনা করে বেড়াচছে।ভুক্তভোগী মহলের প্রশাসনের প্রতি দাবি আশু ভন্ড মাহবুবকে আটক করা হোক।