হাসান সাদী,নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বন্যা পরবর্তী সময়ে খোয়ার ঘাট-জাঙ্গালিয়া ভোর বাজার সড়কের একাংশ ধ্বসে গিয়ে যান চলাচল প্রায় বন্ধের পথে। বর্তমানে এই সড়ক ব্যবহার করে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে বিভিন্ন ধরণের ছোট যানবাহন এবং বন্ধ রয়েছে বড় যানবাহন চলাচল। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার আশংকা করছে স্থানীয় জনসাধারণ। উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড এর অন্তর্গত এই সড়ক, জাঙ্গালিয়া সহ অন্তত পাঁচটি গ্রামকে টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত করেছে। গুরুত্ব বিবেচনায় বর্তমান নাগরপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি এর বসত বাড়ির অবস্থান এই সড়কের এলাকাতেই।
সরেজমিন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এই সড়ক দিয়ে ব্যাটারি চালিত ইজি বাইক যাত্রী নামিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পার হয়ে চলাচল করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাগরপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সড়কে ধস রোধে বালু বোঝাই বস্তা ফেলেছে। কিন্তু এতেও কাজ হয়নি। স্থানীয় এলাকাবাসী হাশেম মিয়া বলেন, বন্যার কারণে এই সড়কের বেশী ক্ষতি হয়েছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আরো বেহাল অবস্থা। প্রতিদিন প্রায় হাজারো মানুষের চলাচল হয় এই সড়কে। এই সড়ক রক্ষায় এখানে একটি কালভার্ট নির্মাণ জরুরী। স্থানীয় বাসিন্দা নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান আনিস জানায়, এই সড়ক অন্যতম ব্যস্ততম একটি সড়ক। প্রতিবছর বন্যায় এই জায়গায় সড়ক ধসে যায়। এখানে অন্তত ১০ ফিট দৈর্ঘ্য কালভার্ট নির্মাণ প্রয়োজন এবং সড়ক রক্ষা বাধ নির্মাণ জরুরী।।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ মোল্লা জানায়, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে এখানে কালভার্ট নির্মাণের জন্য বলেছি। অচিরেই এখানে কালভার্ট নির্মাণ হবে বলে আমি আশাবাদী।
নাগরপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা ব্যক্তি পর্যায়ে উদ্যোগ নিয়ে সড়ক রক্ষায় কাজ করেছি। উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার বলা সত্তেও সড়ক রক্ষায় এখনো কোনো স্থায়ী সমাধানের ভূমিকা চোখে পড়েনি। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আগেই বিদ্যমান সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে বলে আমি আশাবাদী।
নাগরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, এই সড়কে ইতিমধ্যে রাজস্ব খাতের অর্থায়নে আপতত মেরামত কাজ করেছি। এখানে একটি কালভার্ট নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি।