নিউজ ডেস্কঃ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বহুবিধ অভিযোগ
তথ্য প্রকাশ অযোগ্য, দুর্নীতিবাজ, বহু অপকর্মের হোতা, ডিগবাজী খাওয়া আওয়ামী লীগের বর্তমান
কথিত নেতা তথা এলাঙ্গী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে এন্তার
অভিযোগ। অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাট করা হচ্ছে চেয়ারম্যানের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। সরকার
কর্তৃক বিশেষ বরাদ্দের ৬৬০ বস্তা কাবিখার চাউল চোরাই পথে বিক্রি করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে জীবন
নগরে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। পরবর্তীতে রহস্যজনক কারণে চাউল আটকের বিষয়টি
রহস্যই থেকে যায়। চাউল আটকের বিষয়ে দায়িত্ব নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপার সালাউদ্দীন
নিশ্চিত করেন। কাবিখার কাজ না করে গোপনে চাউল চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান আত্মসাৎ এর
উদ্দেশ্যে বিক্রি করার জন্য পাচার করছিলেন। সরকারি বরাদ্দকৃত প্রণোদনার টাকা আত্মসাৎ,
লুটপাট, নিয়োগ বাণিজ্য, বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে গোপন আঁতাত ও তাদের পৃষ্ঠপোষকতা
এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কোণঠাষা করে রাখা চেয়ারম্যানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এছাড়া
অনিয়ম, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে হুন্ডি কাজলকে ভূয়া উপস্থিতি দেখিয়ে কাজলের ১৭-২০ বিঘা
সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে নেয় চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। যে ঘটনা কাজলের স্ত্রী আঁচ করতে পেরে
সংশ্লিষ্ট দপ্তরে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। ভূয়া ও জাল-জালিয়াতি করে
এমনকি হুন্ডি কাজল সাজাপ্রাপ্ত আসামী (পলাতক) কিন্তুকাজলকে ভূয়া হাজিরা দেখিয়ে বিকল্প
কাজল সাজিয়ে ধাপ্পাবাজ মিজানুর রহমান নিজের নামে জাল দলিল করে নেয়। এ ব্যাপারে
সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে কাজলের স্ত্রী অভিযোগ দিয়েও সু-বিচার পাননি। যে বিচার নীরবে নিভৃতে
কাঁদে।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, সাজাপ্রাপ্ত ফেরারী আসামী হুন্ডি কাজল বর্তমান পলাতক কিন্তু মিজানুরের কাছে হাজিরা দেখানো কারণে প্রশাসন এবং এলাকাবাসী হুন্ডি কাজলের উপস্থিতি নিয়ে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর ছুড়েছে। প্রশাসনসহ সর্ব মহলে বিষয়টি আলোচনার ঝড় উঠেছে হুন্ডি কাজল আদৌ রেজিস্ট্রি অফিসে আসেনি। চাতুরতার আশ্রয় নিয়েছে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। ভূয়া কবলা দলিল ভুয়া কাজল হাজির করে (নকল কাজল) কিভাবে মিজানুর রহমান কাজলের সহায়-সম্পত্তি দলিল করে নিলো এলাকাবাসীর শত জিজ্ঞাসা। ইট ভাটার জমি ৫০ লাখ টাকার বিক্রি দেখালেও দলিল মূল্য দেখানো হয় ১৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। একটি জমির দলিল নং-১৫৯। গ্রহীতা মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী। আরেকটি দাগের জমি মূল্য দেখানো হয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা দলিল নং ১৬০। গ্রহীতা এলাঙ্গী ইউনিয়নের দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। এলাঙ্গী এলাকার সাধারণ মানুষ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে এবং জাল-জালিয়াতির কথিত নায়ক মিজানুর রহমানের আশু অপসারন চায়। এলাকার সচেতন মহলের
জিজ্ঞাসা কিভাবে পলাতক কাজলকে উপস্থিতি দেখিয়ে কাজলের অধিকাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে
নিলো?
প্রশাসন জানায় মিজানুর রহমান হুন্ডি কাজলের জমির জাল দলিল করার জন্য ভুয়া কাজল সাজিয়ে এহেন ঘৃণ্য অপকর্ম করেছে। প্রশাসনের বদ্ধমূল ধারণা জালিয়াতির হোতা মিজানুর রহমান রেজিস্ট্রি অফিসকে ম্যানেজ করে জমি রেজিস্ট্রি করেছেন। মূলতঃ হুন্ডি কাজল পলাতকই আছেন। তিনি আসেননি। এলাঙ্গী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বহুবিধ অপকর্মের সু-বিচার চেয়ে কাজলের স্ত্রী সহ
এলাকাবাসী আশু প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।