মোঃ লাতিফুল আজম,নীলফামারী প্রতিনিধি:শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মালম্বীদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া,পূজা মন্ডপ,নাক-মন্দিরে হামলা, বিভিন্ন জেলায় হিন্দু ধর্মীয় উপসানালয় মন্দিরে থাকা প্রতিমা ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতন-ধর্ষণ, নোয়াখালীর ইসকন মন্দিরে সেবাইত নির্মম হত্যা,চাঁদপুর মন্দিরে পূজারী হত্যা, রংপুরের পীরগঞ্জ মাঝিপাড়ায় অগ্নিসংযোগ লুটপাট ও সাম্প্রদায়িক বিনষ্টের প্রতিবাদে নীলফামারী কিশোরগঞ্জে গণ অনশন বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাকর্মীরা।
শনিবার(২৩ অক্টোবর) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনের সামনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ব্যানারে গণ অনশন কর্মসূচী পালন করা হয়।
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কিশোরগঞ্জ শাখার সভাপতি বাবু প্রতাপ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অনশন কর্মসূচিতে যোগ দেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি বাবু পতিরাম চন্দ্র রায়,সাধারণ সম্পাদক দীনেশ চন্দ্র রায়, সহ-সাধারণ সম্পাদক মিথুন কুমার রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক সুকুমার চন্দ্র রায়,বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কিশোরগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক ফনিভূষণ মজুমদার, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কিশোরগঞ্জ শাখার মহিলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি অনিতা রানী মহন্ত,বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি করুনা কান্ত রায়,সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার মোহন্ত, জেলা মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিল্পী রানী রায়ও উপজেলার বেশ কয়েকটি পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি সম্পাদকসহ কমিটির সদস্যগণ।
গণ অনশন সমাবেশে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবু প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন মিথ্যা অজুহাতে সংখ্যালঘুদের ওপর পরিকল্পিত হামলার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণ, ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির সংস্কার ও হামলার শিকার নাগরিকদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে।একটা স্বাধীন দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কখনো কাম্য নয়। বাংলাদেশের যেখানে হামলা ভাঙচুর হয়েছে সব জায়গায় সুষ্ঠু তদন্ত করে হামলাকারীদের সনাক্ত করন আইনের আওতায় আনার জন্য শুধু এই হামলা নয় আগে যেসব হামলা হয়েছে সেগুলোর বিচার দাবি জানাচ্ছি ও যাতে করে তারা আর এমন ঘটনা না ঘটাতে পারে।
উল্লেখ্য যে,গত ১৩ অক্টোবর(বুধবার)দুর্গাপূজার অষ্টমীর দিন ভোরে কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘির উত্তরপাড়া দর্পণ সংঘের পূজামণ্ডপে হনুমানের ডান উরুতে পবিত্র কোরআন দেখা যায়। এরপর কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে ওই মন্ডপে হামলা চালায় একদল লোক। তারপর কুমিল্লা,চাঁদপুর,রংপুর,গাইবান্ধা,পঞ্চগড়,গাজীপুর,চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে।