কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। বিজয়ী প্রার্থীর লোকজন গাড়ীতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে টাকা ছিনতাই করে নেন বলে জানা যায়।উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে এরশাদ আলী মেম্বর নির্বাচিত হওয়ার পরেই এলাকায় শুরু হয়েছে হামলা ও ছিনতাইয়ের মত ঘটনা।
তারই ধারাবাহিতায় গত সোমবার বিকেলে নবনির্বাচিত মেম্বার এরশাদের নেতৃত্বে জিয়া,মেহের আলী, আশরাফ,আছাদ,ইসরাইল সহ আরো ২০ থেকে ২৫ জন লোক সাদীপুর পশ্চিম পাড়া মোড়ে আল সালেহ্ লাইফ লাইন ইন্টার প্রাইজ বাংলাদেশ লিঃ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মামুনুর রশিদ ও মিন্টু সহ তাদের সাথে থাকা আরো দুইটি মোটরসাইকেলের উপর ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালাই এবং ঐ সময় মিন্টুর গাড়ির হাতলে বাধানো একটি ব্যাগে রাখা ৩ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা জোর পূর্বক ছিনতাই করে নেয় এরশাদের লোকজন।এমন ঘটনা আড়াল করতে এরশাদ ও তার লোকজন মিলে ভাংচুরের সাজানো মিথ্যা নাটক তৈরি করে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী মামুনুর রশিদ জানান, ঘটনার দিন আমার ইট ভাটা চালু করা হয় এবং সেখান খরচের জন্য ৩ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার পথে সাদীপুর পশ্চিম পাড়া মোড়ে এরশাদের নেতৃত্বে জিয়া,মেহের আলী আশরাফ,আছাদ,ইসরাইল সহ আরো ২০ থেকে ২৫ জন লোক আমাদের উপর হামলা চালিয়ে ব্যাগে থাকা টাকাগুলো ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
ঘটনার পরেই বিষয়টি দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জাননো হলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন এস আই অরুণ কুমার দাস।
এরশাদ মেম্বারের লোকজন যে চেয়ার ভাঙচুরের নাটক সাজায় সেটা সম্পন্ন মিথ্যা বলে জানান এস আই অরুণ কুমার।জানাজায়, কিছুদিন আগে নবনির্বাচিত এরশাদ মেম্বার মাদক সহ পাবনা র্যাব-১২’র হাতে আটক হয়েছিল,তার নামে দৌলতপুর থানায় একটি মাদক মামলা রয়েছে।