আব্দুল জব্বার, স্টাফ রিপোর্টার।।যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ১১নং বাঁকড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বড়খলসী বাজারের আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর করেছে বিএনপি জামাতের ক্যাডাররা। অফিসের আসবাব পত্র ভাংচুর ও বঙ্গবন্ধুর ছবি, প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও এমপির ব্যানার ছিড়ে ফেলেছে তারা।
সরেজমিনে জানা যায়, ইউনিয়নের বড়খলসী বাজারে ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিস। ঐ অফিসে প্রতিনিয়ত নেতাকর্মিরা উঠাবসা করে দলীয় সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এদিকে ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক মেম্বর শরিফুল ইসলাম শরিফ জানান, আওয়ামী অফিসের ১০ গজ অদুরে ছাদের উপর বর্তমান মেম্বর (বিএনপি নেতা) ইসরাইল হোসেন এর নেতৃত্বে জামায়াতের রোকন বাশি হুজুরের ছেলে আব্দুল্লাহ, ছিদ্দিকের ছেলে আলমগীর, মুজিবর সানার ছেলে করিম, মৃত ফয়েজ আলী ছেলে ইব্রাহিম, কাসেম আলীর ছেলে আক্তারুল, নুর ইসলামের ছেলে কামরুল, একব্বরের ছেলে শুভ, বাদলের ছেলে মজিদসহ ১৮/২০ জন শুক্রবার রাতে মাইক বাজিয়ে বনভোজনের আয়াজন করে। মাইকের আওয়াজ অধিক হওয়ায় বিরক্ত হয়ে স্থানীয়রা বাঁকড়া পুলিশকে খবর দেয়। রাত ১২ টার দিকে বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই রিয়াজ উদ্দীন সেখানে এসে মাইক বন্ধ করে দিয়ে যায়। এর পর তারা পিকনিকের আয়োজন সেরে সবার অজান্তে মেম্বর সহ তার সহপাঠিরা ঐ রাতেই আওয়ামী লীগের অফিসের তালা ভেঙ্গে ভীতরে ঢুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবার রহমানের ছবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিড়ে ফেলেছে। এবং অফিসে টাঙ্গানো বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অধ্যাপক ডা: মো: নাছির উদ্দীন এমপির ব্যানার ও উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ও বাঁকড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নিছার আলী ব্যানার ছিড়ে ফেলেছে।
অফিসের ২০ টি চেয়ার ও টেবিল ভাংচুর করেছে। তিনি আরো বলেন, বাজারের নাইট ডিউটিতে থাকা রুহুল আমিন ও দুলু গাজী ঐ রাতে পিকনিকের খাবার খেয়েছে। অথচ বাজারের উপর একটা অফিস ভাংচুর করা হয়েছে সেটা তারা জানেন না।
স্থানীয় মকবুল শহীদ ও মনি বলেন, জিন্নাত, মেম্বরী পাশ করার পর থেকে আমাদের চোখের কাটা করে রেখেছে। আমাদের বিশ্বাস তারা পিকনিক শেষে অফিসটি ভাংচুর করেছে।
বাজার কমিটির সভাপতি আশরাফুজ্জামান আশা বলেন, যারাই এই কাজটি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার। সাবেক চেয়ারম্যান নিছার আলী বলেন, যারা আওয়মী লীগের অফিস ভাংচুর করেছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে এস আই রিয়াজ উদ্দীন বলেন, আমি রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে যেয়ে তাদের মাইক বন্ধ করে দিয়ে আসছিলাম। সকালে শুলনাম আওয়ামীলীগের অফিস ভাংচুর করেছে।
বড় খলসী বাজারে যারা নাইট গার্ড ছিল তারা জানলো একটা ভাংচুর হয়ে গেল এটা কেমন করে হয়।নাইট গার্ড দের ভালোভাবে ধরতে হবে তাদের মুখ থেকে কথা টেনে বের করতে হবে।