প্রায় ৮০ বছর বয়স্কা মর্জিনা বেগম। স্বামী সংসার নিয়ে জীবনের প্রায় গোটা সময়টাই কেটেছে অন্যের জমিতে কোন রকমে বাড়ী করে। কষ্ট করে অন্যের জমির ঝুপড়ী বাড়ীতে কোন রকমে বসবাস করে ঈদের আনন্দের তেমন স্বাদ পায়নি। কিন্ত জীবনে প্রথম এবার নিজের জমির নতুন বাড়ীতে ঈদ করতে পেরে অন্যরকম আনন্দের বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়া এই বৃদ্ধা। সারাজীবনের কষ্টের পর এবার প্রথম অন্যরকম এক আনন্দের ঈদ উদযাপনের কথা বলতে চোখে অশ্রু ঝরছিলো তার। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণভরে দোয়া করেন তিনি।
শুধু মর্জিনা বেগমই নন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধামন্ত্রীর উপহার হিসেবে পাওয়া জমিসহ নতুন বাড়ীতে বসবাসকারী অধিবাসীদের ঈদ হয়েছে এবার অন্যরকম আনন্দে। এসব বাড়ীতে বসবাসকারীরা অনেকেই বলেন, যারা পরের জমিতে বসবাস করে, তাদের আবার ঈদ কিসের। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নিজের জমিতে নতুন বাড়ীতে ঈদ করতে পেরে অন্যরকম অনুভুতি তাদের। যা এর আগে কখনও অনুভব করতে পারেননি। জীবনে প্রথম নিজ বাড়ীতে ঈদ করতে পেরে আনন্দে উচ্ছাসিত তারা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিথিরাও জানান, এলাকার মানুষের সার্বিক খোজখবর রাখেন তারা। এসব মানুষগুলো এর আগে যেভাবে ঈদ করে এসেছে, এবার নতুন বাড়ীতে তাদের ঈদের আনন্দটা কেটেছে নতুন এক উদ্দমে। এই জনপ্রতিনিধি জানালেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দেয়া নতুন বাড়ীতে এবার অন্যরকম আনন্দে ঈদ কেটেছে তাদের। একসময়ের গৃহহীন এই মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাতে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এই জনপ্রতিনিধিও।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধামন্ত্রীর শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে দিনাজপুরে জমিসহ নতুন বাড়ী পেয়েছে সাড়ে ৫ হাজার পরিবার।