কপোতাক্ষ নিউজে খালি থাকা সাপেক্ষে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। অতিস্বত্তর সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করুন।

তারেক রহমানকে দেখতে ঢাকায় যাওয়ার পথে ভোলায় ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

তারেক রহমানকে দেখতে ঢাকায় যাওয়ার পথে ভোলায় ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা


মো: দিদার: বাংলাবাজার, ভোলাঃ জমিজমা বিরোধের জেরে ভোলায় এক ছাত্রদল নেতা খুন হয়েছেন। নিহতের নাম রেজোয়ান আমিন সিফাত। তিনি ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক ও ৯নং ওয়ার্ড সম্পাদক আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে এবং নিহত সিফাত ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও আসন্ন কাউন্সিলে সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন।


নিহত সিফাতের পিতা আলাউদ্দিন হাওলাদার জানান, বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন সিফাত। ঢাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বাড়ির কাছেই রাস্তায় উৎপেতে থাকা প্রতিপক্ষরা তাকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে আমরা ঘটনাস্থলে এসে ৫জনকে চিনতে পেরেছি। তারা আমাদের রাজনৈতিক ও পারিবারিক দীর্ঘদিনের শত্রু। তিনি আরও অভিযোগ করেন বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে হাসিব, শাকিল, সিহাব, রনি ও মঞ্জিলসহ অজ্ঞাত আরও ৭/৮জন জড়িত ছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজন নিহত সিফাতের আপন চাচাতো ভাই ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও রাজাপুর ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেলাল মেম্বারের ছেলে। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থেকেই এই হত্যাকা- হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।


পরে স্বজনরা গুরুতর আহত অবস্থায় সিফাতকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


ছাত্রদল নেতার মৃত্যুর খবর শুনে ভোলার বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ভীড় জমান এবং হত্যার সাথে জড়িত সকলকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।


এবিষয়ে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল ও ঘটনা স্থলে পাঠিয়েছি। দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার চেষ্টা চলছে।

যশোরের ৬টি আসনে চুড়ান্ত মনোনয়ন

 যশোরের ৬টি আসনে চুড়ান্ত মনোনয়ন
নিউজ ডেস্কঃ ৮৫, যশোর-১ (শার্শা) মফিকুল হাসান তৃপ্তি। ৮৬, যশোর-২( ঝিকরগাছা-চৌগাছা) সাবিরা সুলতানা। ৮৭, যশোর-৩ (যশোর সদর) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।৮৮, যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া) টিএস আইয়ুব। ৮৯, যশোর-৫(মনিরামপুর) জোটপ্রার্থী ৯০, যশোর-৬ (কেশবপুর) আবুল হোসেন আজাদ।

বসুন্দিয়ার জঙ্গলবাধাল মডেল স্কুলের পরীক্ষার ফলাফল ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

 বসুন্দিয়ার জঙ্গলবাধাল মডেল স্কুলের পরীক্ষার ফলাফল ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত


মোঃ মুরাদ হোসেন , বসুন্দিয়া (যশোর) প্রতিনিধি: যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়ার ঐতিহ্যবাহী জঙ্গলবাধাল মডেল স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলার অন্যতম কিন্ডার গার্টেন ও বসুন্দিয়ার শ্রেষ্ঠ স্কুল হিসাবে বরাবরই কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। বসুন্দিয়া থেকে মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়া তিনজন তারকা শিক্ষার্থীর মধ্যে দুই জনই এই বিদ্যালয়ের ছাত্র। ঢাকা মেডিকেলে স্থান করে দেওয়া মোঃ রাকিবুল ইসলাম এবং রাজশাহী মেডিকেলে স্থান পাওয়া ইমতিয়াজ আহমেদ জিম-কে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশেষ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। 

বিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি শ্রেণীর প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারী শিক্ষার্থীদেরকে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। 

অতিথিবৃন্দ বিদ্যালয়ের অতীতের সকল উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথা তুলে ধরে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার ব্যাপারে বিশেষভাবে আহ্বান করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিন্টু। জনতা ব্যাংকের সাবেক এজিএম এমন এ করিম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস, পদ্মবিলা কামিল মাদরাসার ইংরেজি প্রভাষক মোঃ নাজিম উদ্দিন, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, বসুন্দিয়া মোড় বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ ইউসুফ আলী বিশ্বাস, বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের এ এস আই ফিরোজ হোসেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম খান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে আরো উপস্থিত ছিলেন বানিয়ারগাতী মহিলা মডেল দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিকক মাওলানা সাইফুর রহমান, মোঃ আমিরুল ইসলাম, প্রেসক্লাব বসুন্দিয়ার সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর, সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গনি, জঙ্গলবাধাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফসিয়ার রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী শিক্ষক রোজী ইসলাম।

শহীদ হাদির স্বপ্ন: ন্যায় ও ইনসাফের বাংলাদেশ

 শহীদ হাদির স্বপ্ন: ন্যায় ও ইনসাফের বাংলাদেশ


সাজেদুল ইসলাম রাব্বি স্টাফ রিপোর্টারঃ 
  জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক অনিবার্য নাম শরিফ ওসমান হাদি। জন্মসূত্রে তাঁর নাম ছিল ওসমান গনি। পরে তিনি পরিচিত হন শরিফ ওসমান হাদি নামে। বাবার নামানুসারেই তিনি এই পরিচয় বেছে নেন। একসময় কবিতা লিখতেন ‘সীমান্ত শরিফ’ নামে। ১৯৯৩ সালের ৩০ জুন ঝালকাঠি জেলার নলছিটি পৌরসভার খাসমহল এলাকায় শিক্ষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মাওলানা শরিফ আব্দুল হাদি ছিলেন নলছিটি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক উপাধ্যক্ষ ও খাসমহল জামে মসজিদের পেশ ইমাম। মা তাসলিমা হাদি গৃহিণী। পরিবারের গণ্ডি ছাড়িয়ে ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদরাসাই ছিল তাঁর সাংস্কৃতিক বিকাশের মূল পাঠশালা। এখান থেকেই তিনি সংস্কৃতির নানাবিধ দিক শিখেছেন, আয়ত্ত করেছেন ও ধারণ করেছেন, যা ওসমান হাদীর ব্যক্তিত্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাকে যুক্তিবাদী, স্পষ্টভাষী এবং বিতার্কিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি জাতীয় পর্যায়ে বিতর্ক ও আবৃত্তিতে একাধিক পুরস্কারও অর্জন করেন।সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন।

রাজনীতিতে আসার আগে তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। একই সঙ্গে জিআরই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতায় তিনি রাজপথে নেমে পড়েন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী যখন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের ভাগ বসানোর দিকে মনোযোগী হয়েছিল, তখন হাদি ব্যতিক্রমী চিন্তা-ভাবনায় মনোনিবেশ করেছেন। গর্ভবতী স্ত্রীকে ঘরে রেখে শহর-নগর-বন্দর ঘুরে গড়ে তোলেন ইনকিলাব মঞ্চ, যেখানে তিনি ছিলেন মুখপাত্র।

হাদির রাজনৈতিক চিন্তার মূলমন্ত্র ছিল সাংস্কৃতিক বিপ্লব। তিনি বিশ্বাস করতেন রাজনৈতিক পরিবর্তনের আগে প্রয়োজন মানুষের চিন্তা ও সাংস্কৃতির পরিবর্তন। ভারতীয় সাংস্কৃতিক আধিপত্যের বিপরীতে বাঙালি মুসলমানের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক সত্তাকে জাগিয়ে তোলার স্বপ্ন দেখতেন। এই লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠা করেন 'ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার।' প্রায় শূন্য হাতে শুরু হলেও অদম্য প্রত্যয়ে এটিকে দাঁড় করান। ব্যক্তিগত জীবনের অনেক দায়িত্ব থাকার পরও, সমাজের সকল বোঝা একা কাঁধে তুলে নেন। ন্যায় ও ইনসাফের বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে তিনি বিপ্লবের পতাকা হাতে নেন।

ওসমান হাদি ছিলেন একজন নির্ভীক বিপ্লবী। যিনি জানতেন কখন কথা বলতে হয়, কখন চুপ থাকতে হয়। কঠিন মেজাজের হলেও যথেষ্ট বিনয়ী ছিলেন। তিনি সময়ের প্রতিটি ঘন্টার গুরুত্ব বুঝতেন। কালচার বুঝতেন, আগ্রাসনের ভয়াবহতা উপলব্ধি করতেন এবং মোকাবেলার পথও চিনতেন। অনেক নেতা সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রকে কেবল বিনোদনের অনুষঙ্গ হিসেবে দেখেন, আবার অনেকে আগ্রাসনের ভয় বোঝেন কিন্তু সাংস্কৃতির গভীরতা বোঝেন না। হাদি এই দুই জায়গাতেই অনন্য ছিলেন। কবি হিসেবে তাঁর শব্দের জাদু, আবৃত্তির রস এবং প্রতিবাদী কবিতা জীবনের কাজের সঙ্গে মিশে একাকার হয়েছিল। বাংলাদেশে এমন দৃপ্ত কণ্ঠ এবং স্পষ্ট অবস্থানধারী বিপ্লবী খুবই বিরল।

হাদির জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল নির্বাচনী প্রস্তুতি। ২০২৫ সালের শেষ দিকে তিনি ঢাকা-৮ আসনে 'স্বতন্ত্র প্রার্থী' হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা করছিলেন। সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা তিনি রাজনৈতিক অংশগ্রহণকেও নিজের সংগ্রামের অঙ্গ হিসেবে দেখতেন। দিনব্যাপী নির্বাচনী প্রচারণায় সময় ও সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগানোর যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলেন। চেয়েছিলেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তাঁর নেতৃত্বগুণ ও সাহসিকতাকে পুঁজি করে জাতীয় রাজনীতিতে সামগ্রিক পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে।গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন, বক্স কালভার্ট রোড, পুরানা পল্টনে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর রাতেই এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থা ক্রমান্বয়ে অপরিবর্তিত হলে, উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এক সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর ১৮ ডিসেম্বর রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই গোটা বাংলাদেশ শোকে স্তব্ধ হয়ে যায়। রাজপথ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে মফস্বলের চায়ের দোকান পর্যন্ত তাঁর নাম উচ্চারিত হতে থাকে। একজন মানুষের এমন মৃত্যুতে সারাদেশের একযোগে শোক ও স্মরণাভিব্যক্তি বিরল এক ঐতিহাসিক ঘটনা।


শহীদ ওসমান হাদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে, কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের নিকটেই সমাহিত করা হয়। যেন বাংলাদেশের প্রতিবাদী চেতনার এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে উত্তরাধিকার বহন হয়। তাঁর মৃত্যু প্রমাণ করল মানুষ মরে যায় কিন্তু আদর্শ মরে না। হাদি চলে গেছেন, কিন্তু তার স্বপ্ন বেঁচে থাকবে। তাঁর সংগ্রাম আমাদের জন্য, আমাদের ভবিষ্যতের জন্য, আমাদের সন্তানদের জন্য। প্রচারণার চরম ব্যস্ততায় তাঁর দশ মাসের নবজাতক সন্তান দশ ঘণ্টারও বেশি সময় বাবার কোলে আসার সুযোগ পায়নি। কিন্তু দেশ ও জনগণের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে তিনি পিছপা হননি।


পদবী আর অর্থের লোভে পড়ে কখনো নিজের আদর্শ ত্যাগ করেননি। অনল ভাষী এই কবি ও বক্তা ছিলেন রাজপথের অবিচল যোদ্ধা। ওসমান হাদি বেঁচে থাকবেন সেই অগণন মানুষের ভেতর যারা ভীরু হয়েও সাহস খোঁজে, যারা নিরক্ষর হয়েও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে চায়, যারা শিশুদের জন্য একটি ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে। তিনি আমাদের ঋণী করে দিয়ে গেছেন। তাঁর জীবন ছিল আমাদের ভবিষ্যতের জন্য লেখা এক দীর্ঘ প্রতিবাদী কবিতা।শহীদ ওসমান হাদির আদর্শ চিরজীবী, এদেশের মাটিতে বেঁচে থাকবে। তারুণ্যের পক্ষে বাঙালির সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগ্রামের চিহ্ন হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ কখনো তাকে ভুলবে না।

news

news
নওগাঁর আত্রাইয়ের শুঁটকি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়


মোঃ ফিরোজ হোসাইন
রাজশাহী ব্যুরো



নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জে শুঁটকির ব্যাপক উৎপাদন চলছে। বন্যার কারণে জলাশয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছের সরবরাহ বেড়েছে, ফলে শুঁটকি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন মাছের আড়তে ভোর থেকেই মাছ কেনাবেচা চলছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর বন্যা না হওয়ায় মাছের সংকটে লোকসান হয়েছিল। তবে এবার মাছের আমদানি বেশি, দাম কম এবং শুঁটকির বাজার ভালো থাকায় তারা লাভের আশা করছেন। আত্রাইয়ের ভরতেঁতুলিয়া গ্রাম শুঁটকি তৈরিতে বিশেষভাবে খ্যাত। এখানকার শুঁটকি ঢাকাসহ রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রামসহ দেশের ২০–২৫টি জেলায় বাজারজাত হচ্ছে।

স্থানীয়দের মতে, পরিকল্পিত উদ্যোগ নিলে শুঁটকি শিল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ আরও বাড়বে।

News

News
আত্রাইয়ে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বিএনপির আনন্দ মিছিল


মোঃ ফিরোজ আহমেদ 
রাজশাহী ব্যুরো



বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে নওগাঁর আত্রাইয়ে আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় আত্রাই উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে মিছিলটি দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এতে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ অংশ নেন।

এ সময় উপজেলা বিএনপির নেতারা বলেন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে নতুন গতি আসবে এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণে তাঁর নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মিছিলে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আত্রাইয়ে কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় তীব্র শীত, দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ

আত্রাইয়ে কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় তীব্র শীত, দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ


মোঃ ফিরোজ আহমেদ,রাজশাহী ব্যুরোঃ পৌষের শুরুতেই নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় হঠাৎ করে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার কারণে সূর্যের দেখা মিলছে না বললেই চলে। এর ফলে স্বাভাবিক জনজীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি, বিশেষ করে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন সবচেয়ে বেশি বিপাকে।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে আত্রাইসহ আশপাশের এলাকায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারপাশ। দিনের বেলাতেও শীতের অনুভূতি থাকায় মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে চাইছে না। সকালে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষদের কষ্টের সঙ্গে বের হতে দেখা গেছে।ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেড়ে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা। বিশেষ করে গ্রামীণ সড়কগুলোতে দৃশ্যমানতা কম থাকায় চালকরা আতঙ্কের মধ্যে চলাচল করছেন।

এদিকে শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন দিনমজুর, ভ্যানচালক, রিকশাচালক ও কৃষিশ্রমিকরা। অনেকেই পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে কাজে যেতে পারছেন না। শীতের কারণে আয়ের পথ সংকুচিত হওয়ায় তাদের পরিবার নিয়ে পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে।স্থানীয়রা জানান, দ্রুত তাপমাত্রা স্বাভাবিক না হলে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে। তাই অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল।