বক্তারা অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। তাদের হুঁশিয়ারি, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত তন্ময় চাষী বলেন, স্কুলের নিকটে আমার প্রায় ৬০০শতক (৬০ কাটা) জমি রয়েছে,সেই জমি গুলিই আমার দখলে এবং এগুলোর বৈধ কাগজপত্র আমার কাছে আছে। আমি স্কুলের জায়গা দখল করিনি। আর গাছ কাটার বিষয়ে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাহা সম্পুর্ণ মিথ্যা।
কপোতাক্ষ নিউজে খালি থাকা সাপেক্ষে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। অতিস্বত্তর সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করুন।
Fwd: বিদ্যালয়ের জায়গা দখল ও সড়কের গাছ কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন
From: Mohsin Ali <mohsinlectu@gmail.com>
Date: Mon, Sep 15, 2025, 5:44 PM
Subject: বিদ্যালয়ের জায়গা দখল ও সড়কের গাছ কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন
To: <kapatakkhanews.news@blogger.com>
সাতক্ষীরায় কপ৩০ পূর্ববর্তী আঞ্চলিক সংলাপ: অন্তর্ভুক্তিমূলক জলবায়ু পদক্ষেপে নতুন প্রত্যাশা
শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রভাবের শিকার। ঘূর্ণিঝড়, লবণাক্ততা, নদীভাঙন ও জীবিকা সংকট প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। এ পরিস্থিতি তুলে ধরতে সাতক্ষীরার ক্লাইমেট অ্যান্ড অ্যাডাপ্টেশন নলেজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে সোমবার অনুষ্ঠিত হলো কমিউনিটি ভয়েজেস ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন-এর আঞ্চলিক সংলাপ। সংলাপটির আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স। সংলাপে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, ধর্মীয় নেতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি, নারী ও যুব সংগঠনের নেতা, আদিবাসী প্রতিনিধি, কৃষক, বনজীবী, ব্যবসায়ী, বাঘবিধবা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা বলেন, আসন্ন জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (কপ৩০), যা এ বছর ব্রাজিলের আমাজন অঞ্চলের বেলেম শহরে অনুষ্ঠিত হবে, সেটি হবে বৈশ্বিক জলবায়ু কূটনীতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনের সুযোগ। সংলাপে আলোচকরা উল্লেখ করেন, গ্লোবাল স্টকটেক (GST) বাস্তবায়ন, ক্ষতি ও ক্ষতিপূরণ তহবিল (Loss & Damage Fund) দ্রুত কার্যকর করা, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ন্যায্য রূপান্তর, বন সংরক্ষণ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ—এসব বিষয়কে কপ৩০ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আনতে হবে।
একজন স্থানীয় নারী প্রতিনিধি বলেন, "আমরা প্রতিদিন পানি সংগ্রহ ও জীবিকা রক্ষার সংগ্রামে লড়ছি। আমাদের অভিজ্ঞতা যদি বৈশ্বিক আলোচনায় না পৌঁছায়, তবে বাস্তব সমাধান আসবে না।" অপর এক কৃষক যোগ করেন, "লবণাক্ত মাটি আমাদের ফসল নষ্ট করছে। অভিযোজন কৃষির জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা এখন সময়ের দাবি।"অংশগ্রহণকারীরা জোর দিয়ে বলেন, জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কপ৩০-এ স্পষ্ট ও শক্তিশালী দাবি উত্থাপন করতে হবে।সংলাপ শেষে আয়োজকরা জানান, স্থানীয় অভিজ্ঞতা ও জনগণের প্রস্তাবনা লিখিত আকারে জাতীয় পর্যায়ে পাঠানো হবে, যা বাংলাদেশের অবস্থানকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও শক্তিশালী করবে। তাদের মতে, কপ৩০ শুধুই প্রতিশ্রুতির জায়গা নয়, বরং বাস্তবায়নের নতুন পথচলা শুরু করার একটি অনন্য সুযোগ।