কপোতাক্ষ নিউজে খালি থাকা সাপেক্ষে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। অতিস্বত্তর সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করুন।

রাজশাহীতে বাহক হত্যা : চার্জশিট অনিশ্চিত, প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও আটকে গেছে বিচার

রাজশাহীতে বাহক হত্যা : চার্জশিট অনিশ্চিত, প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও আটকে গেছে বিচার


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে হেরোইন আত্মসাতের ঘটনায় রফিকুল ইসলাম (৩২) নামের এক বাহককে হত্যা মামলার পাঁচ বছর পার হলেও এখনও চার্জশিট জমা হয়নি। মূল আসামি হিসেবে পুলিশের পাঁচ সদস্যের নাম উঠে এলেও তারা কেউ গ্রেফতার হয়নি। বরং মামলার তদন্ত থেমে আছে এবং তদন্ত কর্মকর্তার বদলি জনিত কারণে পরিবার আশঙ্কা করছে, পরিকল্পিতভাবে সময় নষ্ট করে আসামিদের বাঁচানো হচ্ছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায়বিচারের শঙ্কায় রয়েছেন। 


ঘটনাটি ঘটে ২০২০ সালের ২১ মার্চ রাতে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসাহাক আলী ইসাকে নিয়ে পুলিশের একটি বিশেষ টিম গোদাগাড়ী সীমান্তবর্তী এলাকায় হেরোইন জব্দের অভিযানে যায়। অভিযানে গিয়ে পুলিশ ও মাদক কারবারী জামাল, রফিকুলের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।এক পর্যায়ে পুলিশ রফিকুলকে বেধরক মারধর করে।এতে রফিক মাটিতে লুটিয়ে পরে। পরে পুলিশ সদস্যরা রফিকের নাকে শ্বাস চেক করে মৃত্যু নিশ্চিত হয়।

পরদিন ২২ মার্চ পদ্মার চরে রফিকুলের লাশ উদ্ধার উদ্ধার করে থানা পুলিশ। তারা এটিকে “বজ্রপাতজনিত মৃত্যু” হিসেবে অপমৃত্যু মামলায় নথিভুক্ত করে।

পরে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দেখা যায়—মৃত্যুর কারণ বজ্রপাত নয়, রফিকুলের শরীরে ছিল মারধরের চিহ্ন। একই বছরের ১৭ জুন রফিকুলের স্ত্রী রুমিসা খাতুন শরিফুল ইসলাম পিতা আব্দুল মালেককে সন্দেহ করে থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর মামলার তদন্তভার দেয়া হয় পিবিআই রাজশাহীর হাতে। মামলা হতেই জড়িত আসামিদের নাম প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। 


দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায় , আলাতুলি ইউনিয়ন এলাকার শান্তিপাড়া গ্রামের আশরাফের ছেলে শরীফ মুর্শিদাবাদ জেলার কাশেমের কাছ থেকে হেরোইন ক্রয় করে এবং বর্ডার থেকে সংগ্রহ করে পৌছে দেয় আসামী জামাল ও ভিকটিম রফিকের কাছে।এরপর জামাল ও রফিক মাদকগুলো ইসাহাক আলী ইসার কাছে পৌছে দেওয়ার কথা। এরই মধ্যে বুদ্ধি আঁটেন ইসা। পুলিশের সাথে যোগসাজশ করে মাদকগুলো আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা করেন তারা।পরিকল্পনা অনুযায়ী গোদাগাড়ীর উজানপাড়া ঘাট সংলগ্ন এলাকায় জামাল ও রফিককে ধরে ফেলে পুলিশ। শুর হয় ধস্তাধস্তি। পরে পুলিশ রফিককে বেধড়ক পিটিয়ে মেরে ফেলেন।


তদন্তের সময় ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর গ্রেফতার হন ইসাহাক আলী (ইসা) নামের এক ব্যক্তি। আদালতে স্বীকারোক্তিতে ইসা জানান, অভিযানে অংশ নেয়া পাঁচ পুলিশ সদস্য রফিকুলকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে এবং হেরোইনের মালামাল নিজেরাই আত্মসাৎ করে। স্বীকারোক্তিতে উঠে আসে জড়িত পুলিশ সদস্যদের নাম এরা হলেন, গোদাগাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান, এসআই আবদুল মান্নান, এসআই রেজাউল ইসলাম, কনস্টেবল শাহাদাত হোসেন ও কনস্টেবল শফিকুল ইসলামের নাম। 


অভিযোগ রয়েছে, হত্যার পর ওই পাঁচ পুলিশ সদস্য হত্যায় জড়িত জামালকে পরিকল্পিত ভাবে ১ শ গ্রাম মাদক মামলায় আসামি করে রফিকুলকে পালাতক দেখান। পরদিন তার লাশ উদ্ধার করে বজ্রপাত জনিত কারনে মারা যাওয়ার কথা বলে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

তবে স্বীকারোক্তি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং প্রাথমিক প্রমাণ থাকার পরও পাঁচ বছর ধরে চার্জশিট জমা হয়নি। সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদলি হওয়ায় আরও সময়ক্ষেপণ হচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবার ও স্থানীয়দের।রফিকুলের স্ত্রী রুমিসা খাতুন অভিযোগ করেন, “যারা আমার স্বামীকে চরে মারল, তারাই তাকে মামলায় আসামি বানিয়েছে। মামলা স্পষ্ট হলেও পাঁচ বছরেও চার্জশিট নেই। তদন্তের নামে সময় নষ্ট করা হচ্ছে, যাতে অভিযুক্ত পুলিশদের বাঁচানো যায়।”

রুমিসা খাতুন বলেন, “সরকার সত্যিকারের বিচার চান কিনা তার প্রমাণ হবে চার্জশিটে। আমরা শুধু চাই—আমার সন্তানের বাবা যেন হত্যাকারীদের হাতে লজ্জাজনকভাবে চাপা না পড়ে।”রফিকুলের বাবা ফজলুর রহমান আরও বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। পুলিশের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে প্রাণ নিয়ে ভয়। কিন্তু পাঁচ বছর ধরে শুধু ঘুরছি, তদন্ত কর্মকর্তা বদল হয়, কথার স্বর বদল হয়—অন্যদিকে খুনিরা বদলি হয়ে শান্তিতে চাকরি করছে।”

পরিবারের দাবি, পিবিআই ইচ্ছাকৃতভাবে নতুন নাটক সাজানোর চেষ্টা করছে। মাঝে নতুন করে সাধারণ জনগণকে অভিযুক্ত করার গল্প শোনা যাচ্ছে, যাতে প্রকৃত অপরাধী পুলিশ সদস্যদের ধামাচাপা দেওয়া যায়।এদিকে, মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন—পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকা মামলাগুলো ‘স্বার্থরক্ষার জালে’ দীর্ঘকাল ঝুলে থাকে। ফলে প্রভাবশালীদের চাপ এবং পুলিশি প্রভাব বিচারপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে।আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন—জবানবন্দি, ময়নাতদন্ত ও তদন্তের প্রাথমিক প্রমাণ একসঙ্গে থাকার পরও চার্জশিট জমা না দেয়ার অর্থ “অভিযুক্তদের আইনি সুরক্ষা দেয়া।” পাঁচ বছর কাটলেও ন্যূনতম বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।

পরিবার বলছে—“বিচার নয়, সময়ের খেলা চলছে।”পাঁচ বছর পরও চার্জশিট জমা না হওয়া সেই অভিযোগকেই জোরালো করে তুলছে। আদালতের কাগজপত্র হাতে পেলেও তদন্তে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায়, প্রশ্ন এখন—রফিকুল কি বিচারহীনতার আরেকটি নাম হয়ে যাবে?ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, পূর্বেই পিবিআই এর এস আই জামাল মামলা প্রায় শেষ করলেও বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা অজ্ঞাত কারণে মামলা ফেলে রেখেছে। তিনি নতুন করে ফন্দি আঁটতে ব্যস্ত। নির্দোষ কিছু ব্যক্তিকে ফাঁসাতে তাঁদের কাছে অর্থ দাবি করছেন।

জানতে চাইলে রাজশাহী পিবিআই এর মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক উদয় কুমার মন্ডল বলেন, মামলাটি তদন্তধীন আছে। এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। এছাড়াও মামলাটি আমি ৬ মাস হলো দ্বায়িত্ব পেয়েছি।আসামী শরীফুল ছাড়া কারো বাসায় আমি যায়নি। অর্থ দাবির বিষয়ে প্রশ্নই উঠে না। একাধিকবার ফোন দিলেও পিবিআই এর এসপি মনিরুল ইসলাম ফোন রিসিভ করেননি। পরে তাঁর অফিসে গেলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে বার্তা দিলেও তিনি উত্তর দেননি।

বসুন্দিয়ায় জামায়াতের নির্বাচনী গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

বসুন্দিয়ায় জামায়াতের নির্বাচনী গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত


 মো: মুরাদ হোসেন, বসুন্দিয়া (যশোর) প্রতিনিধি: যশোর সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে নির্বাচনী গণ সমাবেশ বসুন্দিয়া মোড় যাত্রী ছাউনি চত্বরে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকাল তিনটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে  বাঘারপাড়া, অভয়নগর ও বসুন্দিয়া নির্বাচনী এলাকা যশোর-৪ সংসদীয় আসনের সবচেয়ে অবহেলিত বসুন্দিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়। 

বসুন্দিয়া ইউনিয়ন আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর-৪ সংসদীয় আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ও জামায়াতের যশোর জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রছুল। তিনি বলেন আল্লাহর অশেষ রহমত এবং গণমানুষের সাহায্য-সমর্থন পেলে জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করবে। জামায়াত রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে অহেতুক কোন নাশকতাও হয়রানি মূলক মামলা হবে না। শুধুমাত্র প্রকৃত অপরাধীরাই শাস্তির আওতায় আসবে। দেশের দুর্নীতি থাকবে না।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের যশোর জেলার সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাইফুর রহমান, সদর উপজেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, বসুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু বকার খান। বসুন্দিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল মজিদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বসুন্দিয়া মোড় বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ ইউসুফ আলী বিশ্বাস, বসুন্দিয়া ইউনিয়ন ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা সাইফুল ইসলাম। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, তৌহিদুর রহমান বাপ্পি, মোঃ ইউসুফ আলী, মোঃ কামরুজ্জামান, হারুন অর রশিদ, মোঃ নুরুন্নবী প্রমূখ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন


রাজশাহী ব্যুরোঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে সংবাদ সংগ্রহের সময় সময় টিভির জাহাঙ্গীর আলমকে মারধর ও এখন টিভির সোহান মাহমুদকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় মানববন্ধন করেছে স্থানীয় সাংবাদিকরা। সোমবার সকাল ১১টায় টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকরা বলেন, দেশে সাংবাদিক নির্যাতন বাড়ছে, কিন্তু কঠোর ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে না। গোমস্তাপুরে হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান তারা।গত ২৭ নভেম্বর রহনপুর কলেজ মোড়ে সংবাদ সংগ্রহের সময় প্রার্থী আমিনুল ইসলামের সমর্থকদের হামলায় জাহাঙ্গীর আলম আহত হন এবং তাঁর ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। বাধা দিতে গেলে সোহান মাহমুদও লাঞ্ছিত হন।

নওগাঁতে এখন কুমড়া বড়িনিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন নারীরা

নওগাঁতে এখন কুমড়া বড়িনিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন নারীরা


মোঃ ফিরোজ হোসাইন, রাজশাহী ব্যুরোঃ নওগাঁর আত্রাইয়ে এখন মহিলারা কুমরা বড়ি বানানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন৷ বড় মাছের সাথে মাসকালায়ের কুমড়ো বড়ি দিয়ে রান্না করলে স্বাদি আলাদা হয়। কুমড়ো বড়ি ভেজে ভর্ত্তা করলে এর স্বাদও মুখে লেগে থাকে।আবার মাসকালাইয়ের ডালের কুমড়ো বড়ি দিয়েও পেট ভরে ভাত খাওয়া যায়। এছাড়া শীতকালে তরকারির সঙ্গে কুমড়ো বড়ি খাবার মজটায় আলাদা।স্বাদের কারনে কুমড়ো বড়ির চাহিদাও বেশি। তাই আত্রাই  উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামের মা চাচি ও দাদিরা  শীতকালে কুমড়ো বড়ি দেওয়া ও শুকানোতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। 
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখতে পেলাম যেমন, বান্দাইখাড়া, হাটুরিয়া, হাটকালুপাড়া, সন্নাসবাড়ি,দরগাপাড়া, সুটকিগাছা,দিঘা,কচুয়া। কুলা,চালুন,খলশিয়ান ও মইয়ের উপর চিকন বাঁশের খিল দিয়ে তৈরি করা মাচায় সাদা ধবধবে কুমড়ো বড়ি শুকানো হচ্ছে। আবার কোথায় কোথায় রাস্তার পাশে বাঁশের মাচার উপর কুমড়ো বড়ি রাখা হয়েছে। বিভিন্ন গ্রাম জুড়ে শুধু ধবধবে  কুমড়ো বড়ি দেখা যায়তেছে। 
 
 নারীরা জানান, কুমড়ো বড়ির তৈরির প্রধান উপকরন মাসকালাইয়ের ডাল, সাদা  কুমড়ো, কালি জিরা ও মসল্লা। বাজার থেকে মাসকালাইয়ের ডাল কিনে রোদে শুকিয়েরাখা হয়। তার পর পানিতে সব উপাদান মিশিয়ে কুমড়ো বড়ি তৈরি করা হয়। গ্রহণী শরিফুন নেছা, পারুল বেগম ,রিমা বিবি,রিতা বিবি,কাকলি বেগম ,খাতিজা,শাফলা,রাজেকা এরা অনেকেই জানান, মাচার চাল কুমড়ো মাষ কালাইয়ের ডাল সহ বিভিন্ন উপাদান পানিতে ভিজে রাখি। তারপর সব গুলো নরম হলে পরিবারের সবাই মিলে শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠে শিল পাটায় বাটা হয়। 

এরপর গামলার মধ্যে দিয়ে ভিজানো মাসকালাই ও কুমড়ো অনেক সময় ধরে মিশানোর পর সাদা ধবধবে হওয়ার পর পাতলা কাপড়ে করে মাচার উপর ছোট ছোট করে বড়ি দেওয়া হয়। ভালো করে শুকানো হলে কুমড়ো বড়ি সাদা কাপড় থেকে তুলে পাতিলেও কৌটায় রাখা হয়। এসব বড়ি তরকারির সাথে খেতে খুব মজা লাগে।উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে এই কুমড়ো বড়ি বিক্রি করছে। যা স্বাস্থ্য সম্মত না। বিষয়টি সংশ্লিষ্টি কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।

প্রেসক্লাব বসুন্দিয়ায় মাদকবিরোধী মতবিনিময় সভায় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দের জিরো টলারেন্স ঘোষণা

 প্রেসক্লাব বসুন্দিয়ায় মাদকবিরোধী মতবিনিময় সভায় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দের জিরো টলারেন্স ঘোষণা


মো: মুরাদ হোসেন , বসুন্দিয়া (যশোর) প্রতিনিধি: যশোর সদরের প্রেসক্লাব বসুন্দিয়ার সভাকক্ষে শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় রাজনৈতিক, সামাজিক ও জনপ্রতিনিধিরা কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মাদক প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় করেন। প্রেসক্লাব বসুন্দিয়ার সভাপতি আবু তাহের এর সভাপতিত্বে মাদকদ্রব্য ও মাদক কারবারীদের প্রতিরোধ করে জিরো টলারেন্সে নেওয়ার ব্যাপারে নিজে নিজে জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখবেন বলে মতামত ব্যক্ত করেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ। প্রাথমিকভাবে আইনানুপ প্রক্রিয়ায় ৯ সদস্যের একটি মাদকবিরোধী কমিটির খসড়া করা হয়। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন বসুন্দিয়ার প্রতিটি গ্রামে মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন চলছে। মাদকের ছোবলে কিশোর, ছাত্র ও যুবকরা ভয়ংকর ভাবে আসক্ত হচ্ছে। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে গোটা সমাজ ব্যবস্থা। যার প্রভাব পড়ছে রাষ্ট্রের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার উপর। বাড়ছে চুরি ছিনতাই সহ বিভিন্ন ধরনের খুন-খারাবি। তাই এখনই সময় মাদক নির্মূলে সকলের সক্রিয় হওয়া। 

সম্প্রতি বানিয়ারগাতী গ্রামে সিংগিয়া রেলওয়ে স্টেশনের পাশেই আব্দুর রাজ্জাক এর পরিবার প্রতিবেশী মাদক কারবারি নজরুল, জহুরুল, শহিদুল গং দের নির্যাতনে ও খুন জখমের প্রকাশ্য হুমকিতে ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পরিবারের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রিতা বার্ষিক পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করতে পারেনি। আব্দুর রাজ্জাক নিজের পরিবারকে নিরাপদ রাখতে বসতবাড়ি ও ব্যবসায়িক মালামাল খুইয়ে, কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করলেও এলাকার কেউই পুলিশের পক্ষ থেকে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। আব্দুর রাজ্জাক ও তার পরিবার নিজেদের নিরাপত্তা ও আইনের প্রয়োগ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। এরপরও পরিবারটি নিজ বাড়িতে বসবাস করতে পারছে না।

প্রেসক্লাবে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন যশোর সদর উপজেলা বিএনপি'র প্রচার সম্পাদক মোঃ শফিয়ার রহমান শফী, জামায়াতে ইসলামীর বসুন্দিয়া ইউনিয়নের আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ, বসুন্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, এন সিপির সংগঠক মোঃ বিল্লাল হোসেন, ইমাম ও উলামা পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা তবিবুর রহমান, ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ মাখিবুর রহমান, বানিয়ারগাতি হিলফুল ফুজুল শান্তি সংঘের সভাপতি মোঃ ইমন হোসেন, বসুন্দিয়া যুব সংঘের সহ-সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন খান, প্রেসক্লাব বসুন্দিয়ার সাধারণ সম্পাদক আবু বকর, সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গনি, কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির, আইন বিষয়ক সম্পাদক মো: মুরাদ হোসেন, প্রচার ও মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক ইমদাদুল হক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রায়হান পারভেজ, সদস্য রেজা পারভেজ, সৈয়দ মাসুম বিল্লাহ এবং বসুন্দিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের সামাজিক ব্যক্তিবর্গ।

বাড়িভাড়ার বৈষম্য দূর করার আহবান মেস সংঘের

 বাড়িভাড়ার বৈষম্য দূর করার আহবান মেস সংঘের

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ  বাংলাদেশ মেস সংঘ (বিএমও) আগত নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে বাড়িমালিকদের প্রতি বাড়িভাড়া বৃ্িদ্ধ না করার আহ্বান জানিয়েছে। বছর এলেই ভাড়াটিয়া এবং বাড়িমালিকদের মধ্যে কিছু বৈরি পরিবেশগত বিপত্তিকর অবস্থা বা বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়। যা খুবই অনাকাঙিক্ষত এবং অনভিপ্রেত। যা সমাজে দৃষ্টি কটুই নয়-বরং অশোভনীয় অথবা চিরন্তন আত্মকলহও অভ্যান্তরীন বিরোধের শামিল। এহেন পরিস্থিতির অবসানে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভূমিকা পালন করতে হবে। শুধু  তাই নয়- আগামীতে অন্তর্বতী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা প্রসারিত হলে সেখানে মেস সংঘের একজন প্রতিনিধিকে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানান। এ দাবিতে ৪ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএমওর পক্ষ থেকে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মেস সংঘের মহাসচিব ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে দু'বার প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মেয়র প্রার্থী আয়াতুল্লাহ আকতারের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান কলামিস্ট মোমিন মেহেদী, সাংবাদিক নাসির উদ্দীন বুলবুল, ওয়াজেদ রানা প্রমুখ। সৈয়দ আখতার সিরাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, সংবিধানের চারটি মূলনীতি ও তৎসহ নীতিসমূহ থেকে উদ্ভুত অন্যসকল নীতি রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি বলে পরিগণিত। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম ও নিষ্ঠুর পরিহাস স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও দেশের সকল মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়নি। অনেক মানুষ এখনো গৃহহীন। দ্বিতীয়ত যারা শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন তারা বাড়ি ভাড়ার যন্ত্রণা যে কি জিনিস উহা মর্মে মর্মে উপলদ্ধি করেন। কাজেই মহামান্য হাইকোর্টের রায় অনুসারে বাড়িভাড়ার বিড়ম্বনা দূর করতে হবে। এসময় মোমিন মেহেদী বলেন, জনস্বার্থের মামলায় জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত আইনজীবী এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বাড়িভাড়া সংক্রান্ত মামলা প্রসঙ্গে বিএমও'র প্রতিনিধিদের জানিয়েছেন রায় হয়েছিল। একজন বিচারপতি পরলোকগমণ করায় অন্যবেঞ্চে শুনানির জন্য প্রেরণ করা হয়। কিন্তু এখন আর শুনানির তালিকায় আসছে না। ফলে বাড়িভাড়া সংক্রান্ত জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাড়িমালিক ও ভাড়াটিয়ার সু-সম্পর্ক বিদ্যমান রাখতে হবে। ভাড়া সংক্রান্ত বিদ্বেষ বা বিরোধের অবসানে আইনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে জনদুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজন বলে বিএমও প্রতিবিধিদের জানান। মেস সংঘের মহাসচিব আয়াতুল্লাহ আকতার বলেন, শহরের ভাড়াটিয়া বিশেষ করে চাকরিজীবী, শ্রমজীবী, শিক্ষার্থী প্রতি নতুন বছরে মেস/বাড়ি ভাড়া নিয়ে মহাবিড়ম্বনায় বিস্ময়াভিভূত হয়ে পড়েন। তাদের আয়ের সিংহভাগ বাড়ি ভাড়ায় চলে যায়। দ্বিতীয়ত এক শ্রেণির বাড়ি মালিক নতুন বছরে করে অস্বাভাবিক ভাড়া বৃদ্ধি করে থাকেন। আগত নতুন বছর ২০২৬ সালে লাগামহীন বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি কারো কাম্য নয়। আমাদের দাবি অযৌক্তিকভাবে কোন অবস্থাতেই বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করা যাবে না। বাড়ি ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালতের হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে।মানববন্ধন থেকে মেস সংঘের প্রতিষ্ঠাকালের ১৩ দফা দাবির লিফলেট বিতরণ করা হয়। দাবিগুলোর অন্যতম চাকরির কোটা সংস্কার অন্যতম ছিল। জুলাই বিপ্লবে তার সফলতা পেয়েছে। এ বিপ্লবে হতাহতদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। একই সঙ্গে আগামীতে বর্তমান সফল অন্তর্বতী সরকারের পরিধি বৃদ্ধি করা হলে- সেখানে (উপদেষ্টা পরিষদে) মেস সংঘের  একজন প্রতিনিধিকে অন্তভুক্ত করার অনুরোধ করা হয়।


কেশবপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ৪ জনের মধ্যে এক যুবদল নেতার মৃত্যু

কেশবপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ৪ জনের মধ্যে এক যুবদল নেতার মৃত্যু

কেশবপুর (যশোর) সংবাদদাতা
: যশোরের কেশবপুরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের আটক ৪ নেতাকর্মীর মধ্যে পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবুর ভাই অজিয়ার রহমান উজ্জ্বল বিশ্বাস (৩৯) কারাগারে নেয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টায় মুমূর্ষূ অবস্থায় তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। রাত ১টার দিকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শনিবরা রাতে তাঁর মরদেহ পৌর শহরের আলতাপোল এলাকার বাড়িতে পৌঁছলে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁর নামে থানায় ১০টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন, কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে অজিয়ার রহমান উজ্জ্বল সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। অন্যরা হলো ভোগতী এলাকার পলাশ (৩৫), আলমগীর হোসেন (৪০) ও মূলগ্রামের রাসেল (২৩)। তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র ও মাদাক উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানান।