কপোতাক্ষ নিউজে খালি থাকা সাপেক্ষে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। অতিস্বত্তর সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করুন।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবরের নির্দেশনা অনুযায়ী মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর আল্টিমেটাম

 সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবরের নির্দেশনা অনুযায়ী মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে  এলাকাবাসীর আল্টিমেটাম


মোহনগঞ্জ (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোন-৪ (মদন,মোহনগঞ্জ,খালিয়াজুড়ী) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী  লুৎফুজ্জামান বাবর তার নিজ নির্বাচনী এলাকা থেকে মাদক,জুয়া নির্মুল করার ঘোষণার পরেই বিএনপিসহ স্থানীয় যুব সমাজ মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মাদক কারবারি ধরা ও মাদকের আস্তানা ভেঙ্গে দেওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে। এজন্য পৌর শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী ঐক্য পরিষদ গঠন করেছে। 



গতকাল (২৪ নভেম্বর) সোমবার রাতে মোহনগঞ্জ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের পূর্ব টেঙ্গাপাড়া ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে মাদকের বিরুদ্ধে একটি মশাল মিছিল বের হয়। 


মিছিলটি পৌর শহরের কাজী অফিস মোড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে আবার কাজী অফিস মোড়ে এসে সমাপ্তি ঘটে। 



এসময় তারা স্লোগানে স্লোগানে বলেন, "মাাদক কারবারির চামরা তুলে নেব আমরা" " মাদকের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশান "



মিছিলে নেতৃত্ব দেন, টেংগাপাড়া ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আশরাফুল আলম শুভ, সদস্য সচিব নূর মোহম্মদ আকাশ, ফিরোজ আহমদ, আশরাফুল আলম সুমন ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় তারা বলেন, মাদক ও জুয়া বিরোদ্ধে বাবর ভাইয়ের ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাদকের বিরুদ্ধে এ কর্মসূচি চলমান থাকবে। গতকালেও করেছি। আগামীকালেও করবো। তিনদিনের মধ্যে সকল মাদক ব্যবসায়ীদের  উৎখাত করবো। "তিনদিন পরেও যদি মাদকের কোনো আস্তানা থাকে তাহলে সমস্ত এলাকাবাসী মিলে মাদকের আস্তানা ভেঙ্গে দিব" প্রতিদিন এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে, যতদিন পর্যন্ত মাদক নির্মুল না হচ্ছে।পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ভিপি কালবেলাকে জানান,আমাদের নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর  ভাই এই নির্বাচনী এলাকায় মাদক নির্মুল করার ঘোষণা ও মাদকের বিরোদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ  দিয়েছেন, সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমি পৌর শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে মাদক বিরোধি ঐক্য পরিষদ গঠন করে এলাকাকে মাদক মুক্ত গড়তে চাই।

বিজয় নিশান -আবুল হাসান তুহিন

বিজয় নিশান   -আবুল হাসান তুহিন

মাটির সুধা নাও গো মেখে 
দামাল ছেলের দল,
মায়ের আদেশ মাথায় করে 
 থাকবি অবিচল।।

 বিজয় নিশান থাকবে উঁচু 
পড়বে নাতো হেলে,
ভয় পাবিনা কভু তোরা 
দুঃখ বিপদ এলে।
শক্র চিনে করবি আঘাত 
দৃঢ় মনোবল,
মায়ের আদেশ মাথায় করে 
 থাকবি অবিচল।।

বিজয় কেতন রক্ষা করার
শপথ তোদের বুকে,
দেশের উপর আঘাত এলে 
 দাঁড়া তোরা রুখে।
 মা মাটি দেশ মুক্ত রাখার
অটুট বুকের বল,
মায়ের আদেশ মাথায় করে 
 থাকবি অবিচল।।

কেশবপুরে হৈমন্তিক কবিতা উৎসব, ৭জন গুণিজনকে সম্মাননা প্রদান

কেশবপুরে হৈমন্তিক কবিতা উৎসব,  ৭জন গুণিজনকে সম্মাননা প্রদান
কেশবপুর (যশোর) সংবাদদাতাঃ  'মাতো মন ভুবনে, সত্য সুন্দর কল্যাণ' শ্লোগানে ১৫ নভেম্বর বিকেলে কেশবপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে হৈমন্তিক কবিতা উৎসব ও ৭ গুণিজনকে সম্মাননা। কেশবপুরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা সমাধানের সভা কক্ষে বাংলাদেশ সাহিত্য সেবা সংসদ এর উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানে প্রায় অর্ধশত কবি তাদের স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। এ ছাড়া সাহিত্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বাসাসেস প্রবর্তিত তিন ব্যক্তিকে বঙ্গভূষণ খেতাব ও চার ব্যক্তিকে মহাকবি মধুসূদন পুরস্কার-২০২৫ প্রদান করা হয়েছে।  বাংলাদেশ সাহিত্য সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কবি ও নাট্যকার মুহম্মদ  শফির সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলাউদ্দিন আলা। অধ্যাপক তাপস মজুমদার ও মানব মণ্ডের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চিত্রশিল্পী ও কবি পলাশউদ্দিন খলিফা। অন্যদেও মধ্যে বক্তব্য রাখেন কবি ও শিশুসাহিত্যিক আনোয়ারুল ইসলাম, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক বিভূতিভূষণ মণ্ডল, ও কথাসাহিত্যিক জাহীদ ইকবাল ওনাট্যকার বিশ্বজিৎ ঘোষ প্রমূখ। অনুষ্ঠানের সভাপতি, উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি, সম্মাননা প্রাপ্ত গুণিজনদের ফুল, ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন।বঙ্গভূষণ খেতাব প্রাপ্তরা হলেন অবলাকান্ত মজুমদার (মরণোত্তর) (সাহিত্যে সাংগঠনিক দক্ষতা), প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান (দর্শন-বিজ্ঞান) ও পলাশউদ্দিন খলিফা (বাংলা মিনিয়েচার রীতি)। মহাকবি মধুসূদন পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন আনোয়ারুল ইসলাম (কবিতা), বিভূতিভূষণ মণ্ডল (প্রবন্ধ-গবেষণা), জাহীদ ইকবাল (সাহিত্যে সামগ্রিক অবদান) ও বিশ্বজিৎ ঘোষ (নাটক) প্রয়াত অবলাকান্ত মজুমদারের পক্ষে মরণোত্তর পদক গ্রহন করেন তার ভাগ্নে কবি ও সংগীতজ্ঞ অলোক বসু বাপী।

কেশবপুরে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

কেশবপুরে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের
প্রতিনিধি, কেশবপুর (যশোর)  যশোরের কেশবপুরে কৃষি অফিসের প্রণোদনার গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে উচ্চ ফলন পেয়ে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে পিয়াজ চাষে। বাজার দরও মোটামুটি ভালো। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের ফলনও ভালো। ফলে কৃষক বেজায় খুশি। গত বছরের চেয়ে এবার এ উপজেলায় ৮ হেক্টর বেশি জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ উপজেলায় ১৪০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ, রাসায়নিক সার ও বালাইনাশক বাবদ নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। এবার প্রণোদনার আওতায় বিতরণকৃত নাসিক এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ করে উচ্চ ফলন পেয়েছেন কৃষকরা।
চলতি বছর এ উপজেলায় কৃষকেরা ১৯ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। এছাড়া, গেল বছর ১১ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ করা হয়। উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, কৃষি অফিস থেকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ পেয়ে তিনি এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছিলেন। ফলন খুবই ভালো হয়েছে। পাঁচ থেকে সাতটি পেঁয়াজে এক কেজি হয়েছে। বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে আনুমানিক ১২০ মন। জমি প্রস্তুতি থেকে শুরু করে পেঁয়াজ উত্তোলন পর্যন্ত খরচ বাদে দ্বিগুণ লাভ হয়েছে। আমার পেঁয়াজের এমন ফলন দেখে এলাকার অন্যান্য কৃষকেরাও পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।  এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৪০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ ও সার দেওয়া হয়। যে কারণে গত বছরের চেয়ে এবার এ উপজেলায় ৮ হেক্টর বেশি জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় ও কৃষি অফিসের পরামর্শ মেনে কৃষকেরা গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে উচ্চ ফলন পেয়েছে। 
 

কেশবপুরে আগাম জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপি আবাদে ব্যস্ত কৃষক

 কেশবপুরে আগাম জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপি আবাদে ব্যস্ত কৃষক

কেশবপুর (যশোর) সংবাদদাতা:- যশোরের কেশবপুরে আগাম জাতের ফুলকপি ও বাধাকপি চাষে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। শেষ মুহূর্তে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় আগাম জাতের কপির যেমন ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তেমন অন্যান্য জাতের সবজিরও ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে মাঠে গিয়ে ভালো ফলনের জন্যে কৃষকদের বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ দিচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, খরিপ-২ মওসুমে এ উপজেলায় ৬৩২ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ  করা হয়। এছাড়াও, ঘেরের বেঁড়িবাধে প্রায় ১৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির সবজির
আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে বাধাকপি, ফুলকপি, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, টমেটো, মরিচ, ঢেঁড়শ, পুইশাক, বেগুন, ধুন্দল, চিচিংগাসহ হরেক রকমের সবজি চাষ হয়েছে। গেল বছর কৃষকরা আগাম জাতের বাধাকপি, ফুলকপি ও মূলার আবাদ করে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। চলতি বছর ভালো দামের আশায় কৃষকরা আবারও আশায় বুক বেধে আগাম জাতের এসব সবজি চাষে শ্রম দিচ্ছেন। তবে এবছর বেগুনের দাম বরাবরই ভালো হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন বলে জানা গেছে।আবহাওয়াও অনুকুলে রয়েছে। ফলে সবজির ফলন ভালো হবে।বারুইহাটী গ্রামের কৃষক গোলাম মোস্তফা বলেন, এবছর তিনি আগাম জাতের বাধাকপি ও ফুলকপির আবাদ করেছেন। ভালো ফলনের আশায় দিন-রাত শ্রম দিচ্ছেন। আর কিছুদিন গেলেই কপি বাজারে বিক্রি শুরু করবো। একই গ্রামের অপর কৃষক আব্দুল ওহাব বলেন, তিনি ২০ শতক জমিতে নাবি জাতের বাধাকপি ও ফুলকপির চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ভালো ফলন হবে বলে তিনি আশাবাদী। 
সারুটিয়া গ্রামের মৎস্য চাষী শহীদ জানান, বিলের শত শত মাছের ঘেরের বেঁড়িতে পেঁপে, সিম, উছতে, বরবটি ও ও মাচায় লাউ-মিষ্ট কুমড়া, তরমুজসহ হরেক রকমের সবজি আবাদ করা হয়েছে। আগাম বৃষ্টিতে ঘেরের বেঁড়ি তলিয়ে গিয়ে সবজি নষ্ট হয়ে যায়। বৃষ্টির পানি কমে ৃযাওয়ার পর আবারও সবজির আবাদ করা হয়েছে। তিনি সবজির ন্যায্য মূল্য নিয়ে শঙ্কায় আছেন।  মজিদপুর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, তার ইউনিয়নে আগাম জাতের বাধাকপি ৩.৫ বিঘা ও ফুলকপি ৩ বিঘা জমিতে আবাদ হয়েছে।  এছাড়া, এইউনিয়নে ১০ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের শীতকালীন সবজিসহ ৭ বিঘা জমিতে ফুলকপি ও বাধাকপির চাষ হয়েছে। মাঠে মাঠে গিয়ে কৃষকদের মরামর্শ দেয়া হচ্ছে।  কৃষকরা ভালো ফলন পাবেন বলে তিনি আশাবাদী।  এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, এ উপজেলায় হরেক রকমের সবজির আবাদ হয়ে থাকে। শীতকালীন সবজির ১৩ হাজার ২৭২ মেট্রিকটন ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।



মানিকগঞ্জে বাউল শিল্পী আবুল সরকারের ভক্তদের হামলা, তৌহিদী জনতার ১০ জন গুরুতর আহত

 মানিকগঞ্জে বাউল শিল্পী আবুল সরকারের ভক্তদের হামলা, তৌহিদী জনতার ১০ জন গুরুতর আহত


আব্দুর রাজ্জাক, স্টাফ রিপোর্টার: মানিকগঞ্জে বাউল শিল্পী আবুল সরকারের বিরুদ্ধে মহান আল্লাহকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদে তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে তার ভক্তদের আকস্মিক হামলায় অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।আজ সকাল ১০টার দিকে তৌহিদী জনতা বাউল শিল্পী আবুল সরকারের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর স্মারকলিপি প্রদানকালে আবুল সরকারের ভক্তরা অতর্কিতভাবে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে কয়েকজন ভক্ত আত্মরক্ষায় পাশের একটি পুকুরে ঝাঁপ দেন, এতে আরও ৪ জন আহত হন। জানা যায়, আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে তার ভক্ত এবং কয়েকজন শিল্পী বিজয় মেলা মাঠে অবস্থান করছিলেন।

ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর ঘিওর উপজেলার জাবরা খালা পাগলী মেলায় গান পরিবেশনের সময় বাউল শিল্পী আবুল সরকার allegedly মহান আল্লাহকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। এই ঘটনায় স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন, এবং তৌহিদী জনতা তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে আসছে।

বন্দর চুক্তি বাতিলের চব্বিশ ঘন্টার আল্টিমেটাম মোমিন মেহেদীর

বন্দর চুক্তি বাতিলের চব্বিশ ঘন্টার আল্টিমেটাম মোমিন মেহেদীর


প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ  নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, বন্দর চুক্তি বাতিলের চব্বিশ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিলাম। এরমধ্যে দেশ বিরোধী বন্দর চুক্তি বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে জনগণকে সাথে নিয়ে যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি করা হবে। সেক্ষেত্রে ক্ষমতালিপ্সু শিক্ষার্থীদের দল বা স্বাধীনতা বিরোধী দলগুলো অংশ না নিলেও সাধারণ মানুষ অংশ নেবে বলে আমি বিশ^াস করি। যাদের হৃদয়ে বাংলাদেশ তারা কখনোই দক্ষ জনবল তৈরি না করে অদক্ষতার অভিযোগে এনে দেশের সম্পদ বিদেশী বেনিয়াদের হাতে তুলে দেয়ার পক্ষে থাকতে পারে না। ২৭/৭ তোপখানা রোডস্থ বিজয় মিলনায়তনে ১৯ নভেম্বর নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি আয়োজিত ‘অবৈধ বন্দর চুক্তির হাত থেকে বাঁচাতে হবে বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবাদ সভায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, নির্মম হলেও সত্য যখন বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিলো ড. ইউনূসের হাত ধরে অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে, তখন বাংলাদেশের ঋণের রেকর্ড তৈরি হয়ে ২১ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হয়েছে, দুর্নীতি স্বয়ং ইউনূস সাহেবের আত্মীয়-স্বজন-পারিষদবর্গ আর পিয়ন-চাপরাশিদের পৃষ্টপোষকতায় অতিতের রেকর্ড ভেঙ্গে এগিয়ে চলছে। আমাদের এক কথা, তাদের এই বন্দর চুক্তি বাতিল করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।   সভায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. নূরজাহান নীরা, যুগ্ম মহাসচিব মনির জামান, ওয়াজেদ রানা প্রমুখ।