কপোতাক্ষ নিউজে খালি থাকা সাপেক্ষে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। অতিস্বত্তর সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করুন।

জনসেবায় নিবেদিত প্রাণ, প্রিয় নেতা জহুরুল ইসলাম ছুটিপুর ও মোহাম্মদপুর বাজারে গণসংযোগ ও মতবিনিময়ে

 জনসেবায় নিবেদিত প্রাণ, প্রিয় নেতা জহুরুল ইসলাম ছুটিপুর ও মোহাম্মদপুর বাজারে গণসংযোগ ও মতবিনিময়ে


নিউজ ডেস্কঃ প্রিয় নেতা মানে সেই মানুষ, যিনি শুধু ভাষণ দেন না—কাজ দিয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেন। যিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের ভালোবাসাই নেতৃত্বের প্রকৃত শক্তি। ঠিক তেমনি একজন নেতা চৌগাছা-ঝিকরগাছা আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী, চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, জননেতা জনাব জহুরুল ইসলাম।

সোমবার তিনি যশোর-২ আসনের গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের ছুটিপুর বাজার ও মোহাম্মদপুর বাজার এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ ও মতবিনিময় করেন। বাজারের প্রতিটি স্তরের মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন, তাদের সমস্যা ও প্রত্যাশার কথা শোনেন মনোযোগ দিয়ে। সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কৃষক, শ্রমজীবী, তরুণ প্রজন্ম—সবাই তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করেন।

নির্মল হাসি, আন্তরিকতা ও মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে জনাব জহুরুল ইসলামের এই মতবিনিময় পরিণত হয় এক উষ্ণ গণসংলাপে। তিনি বলেন, “আপনাদের দোয়া ও সমর্থন থাকলে আমি এ এলাকার উন্নয়ন এবং মানুষের অধিকার রক্ষায় সর্বদা নিবেদিত থাকবো।” জনগণের হৃদয়ে স্থায়ী ছাপ রেখে যাওয়া এই নেতা বারবার প্রমাণ করে চলেছেন—নেতৃত্ব মানেই জনগণের পাশে থাকা, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে এগিয়ে যাওয়া।

জুলাই অপরাধীদের তালিকা না দেয়াও অপরাধ

জুলাই অপরাধীদের তালিকা না দেয়াও অপরাধ

প্রেস  বিজ্ঞপ্তিঃ নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, জুলাই অপরাধীদের তালিকা না দেয়াও অপরাধ। সেই অপরাধের দায় নিয়ে ৩৬ জুলাই পালিত হলে ইতিহাস শিক্ষার্থীদের সরকার, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বা এনসিপির কাউকে ক্ষমা করবে না। ৩০ জুন ২৭/৭ তোপখানা রোডস্থ কার্যালয়ের বিজয় মিলনাতনে ৩০ জুন বিকেলে অনুষ্ঠিত 'ঁজুলাই অপরাধীদের তালিকা না দেয়ার কারণ ও বাস্তবতা' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, নতুন দল গঠনের মধ্য দিয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতারা নব্য ফ্যাসিজমের পথে এগিয়ে চলছে। যে কারণে আজ জুলাইযোদ্ধাদের তালিকা দিলেও জুলাই অপরাধীদের তালিকা না দিয়ে জাতির সাথে প্রতারণা করছে। এই প্রতারণার কারণে অদূর ভবিষ্যতে চরম খেসারত তাদেরকে দিতে হবে। কেননা, জনগণকে বোকা বানানো গেলেও ইতিহাসকে কখনো কেউ বোকা বানাতে পারেনি। যে কারণে যুগে যুগে কালে বিজয় আর পরাজয়ের মূল ঘটনা প্রজন্মের পর প্রজন্ম জেনেছে এবং শিখেছে এই ইতিহাস থেকেই। অতএব, খুব দ্রুত জুলাই অপরাধীদের তালিকা প্রকাশ ও বিচার কাজ সম্পাদনের জন্য নতুন কমিশন গঠন করাটা হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

সভায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান চন্দন সেনগুপ্ত, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী মুন্নি আলম, যুগ্ম মহাসচিব মনির জামান, সদস্য হরিদাস সরকার প্রমুখ।

শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের অর্ধ-বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত

শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের অর্ধ-বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত

শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ ৩০ শে জুন রোজ সোমবার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর  ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের এর অর্ধ-বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।সভায় বিগত ছয় মাসে জলবায়ু সহনশীল কার্যক্রমের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয় এবং পরবর্তী ছয় মাসের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। আলোচনায় উঠে আসে খরা, লবণাক্ততা ও বন্যার ঝুঁকি মোকাবেলায় স্থানীয় অভিযোজন কৌশল, জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ এবং নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়গুলো।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি ডাঃ আব্দুর সবুর। যিনি বলেন, "জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের বাস্তবতা। তাই স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত থাকাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।"সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন রেক্সোনা পারভীন, এস এম কাম্রুল ইসলাম, মো: আইয়ুব আলী,মুজিবর সরদার, লিডার্সের মনিটরিং কর্মকর্তা জয়দেব জোদ্দার, এডভোকেসি অফিসার তমালিকা মল্লিক সহ আরো অনেকে।

সভায় ফোরামের সদস্যরা নারীর দৃষ্টিভঙ্গিতে জলবায়ু অভিযোজন ও স্থানীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অভিযোজন পরিকল্পনার কাঠামো নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ফোরামের সদস্যদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে একটি খসড়া অভিযোজন পরিকল্পনা তৈরি করা হবে, যা পরবর্তীতে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়াও লবণাক্ত জমিতে সহনশীল ফসল চাষে সম্প্রদায়ভিত্তিক উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।এই অর্ধ-বার্ষিক সভার মাধ্যমে ফোরামের সদস্যরা জলবায়ু সহনশীল উন্নয়নে জনগণের অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমকে আরও সুসংহত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।

উপকূল গবেষণায় ৪ জনকে লিডার্সের গবেষণা বৃত্তি প্রদান

উপকূল গবেষণায় ৪ জনকে লিডার্সের গবেষণা বৃত্তি প্রদান

শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ  জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা, খাদ্য নিরাপত্তা, অপুষ্টি, আয়কে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে যা দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের বেকারত্ব সৃষ্টি করেছে। গবেষণা ভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স, গবেষণা এবং তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। উপকূলীয় এলাকার স্থানীয় সমস্যা নিয়ে গবেষণা পরিচালনার জন্য গবেষকদের বৃত্তি প্রদান যার মধ্যে অন্যতম ।

এরই ধারাবাহিকতায়, আজ ৩০শে জুন, ২০২৫ তারিখে লিডার্স এর ক্লাইমেট এ্যান্ড এডাপটেশন নলেজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার গবেষকদের বৃত্তি প্রদান করেছে। লিডার্স এর খুলনা আঞ্চলিক অফিসে আয়োজিত বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর অন্তরা বিশ্বাস, লিডার্সের প্রকল্প সমন্বয়ক মোসা: লায়লা খাতুন এবং জ্ঞান ও গবেষণা ব্যবস্থাপক তুষার সরকার। তারা উপকূলীয় সমস্যা সমূহের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং গবেষণার প্রাসঙ্গিকতা উল্লেখ করেন।

গবেষকদলে রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়েশা আক্তার ইতি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মো: সেফাতুল ইসলাম ও এসকে রাকিবুল ইসলাম এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^বিদ্যালয়ের রাজ দেবনাথ। তারা স্থানীয় জনগণের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব যেমন- শ্যামনগর উপজেলায় লবণাক্ততায় প্রভাবিত কৃষি উৎপাদনে অভিযোজন কৌশলের কার্যকারিতা বিশ্লেষণ, জলবায়ুজনিত অভিবাসনের কারণ ও নীতিগত প্রতিক্রিয়া: সাতক্ষীরা জেলার প্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানসিক স্বাস্থ্য: শ্যামনগরের উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর ওপর পরিবেশগত দুর্যোগের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব, উপকূলীয় বাংলাদেশের আদিবাসী মুন্ডা জনগোষ্ঠীর অভিযোজন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কৌশল- এসকল বিষয়ে গবেষণা কাজ করবেন।

বিশেষ অতিথি তাঁর বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে গবেষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আপনাদের গবেষণা আমাদের বাস্তবতাকে বুঝতে সহায়তা করে। তবে এ গবেষণাগুলো যদি মাঠপর্যায়ের মানুষের জীবন-জীবিকার সাথে আরও গভীরভাবে যুক্ত হয়, তাহলে তা হবে প্রকৃত অর্থে কার্যকর। স্থানীয় সমস্যার বাস্তব চিত্র, সংস্কৃতি ও অভিজ্ঞতাকে গবেষণার অংশ করে তুললে আমরা টেকসই অভিযোজন কৌশল উদ্ভাবনে এগিয়ে যেতে পারব।" এর পাশাপাশি তিনি লিডার্স এর এই প্রশংসনীয় উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।

 গবেষক রাজ দেবনাথ তার গবেষণার বিষয়ে বলেন "শ্যামনগর উপজেলা, সাতক্ষিরার লবণাক্ততায় আক্রান্ত কৃষিজমিতে গৃহীত অভিযোজন কৌশলসমূহের কার্যকারিতা যাচাই" শীর্ষক গবেষণাটি স্থানীয়ভাবে বাস্তবায়িত অভিযোজন পদ্ধতিগুলোর ফলপ্রসূতা বিশ্লেষণ করবে। এই গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল কৃষকদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক হবে এবং তাদের জন্য কার্যকর ও বাস্তবসম্মত সমাধান তুলে ধরবে। পাশাপাশি, এটি নীতিনির্ধারকদের জন্য টেকসই কৃষি পরিকল্পনা গ্রহণে সহায়তা করবে। কৃষিখাতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় গবেষণাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।এ পর্যায়ে গবেষকগণ মত বিনিময় করেন এবং লিডার্স এর প্রশংসনীয় উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।

ধর্ষণ-নিপীড়ন বন্ধে ব্যর্থ অর্ন্তবর্তী সরকারও

ধর্ষণ-নিপীড়ন বন্ধে ব্যর্থ অর্ন্তবর্তী সরকারও

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ধর্ষণ-নিপীড়ন বন্ধে ব্যর্থ অর্ন্তবর্তী সরকারও। এক ফ্যাসিস্টকে বিদায় করে বাংলাদেশের জনতা নব্য ফ্যাসিস্টদের হাতে তুলে দিয়েছে। কুমিল্লার মুরাদ নগরে ধর্ষণ-নিপীড়ন, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর গৃহবধুকে অপহরণসহ সংগঠিত সকল ধর্ষণ-নিপীড়ন-নির্যাতন-মব বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবিতে নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি ২৯ জুন প্রেরিত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। বিবৃতিতে  চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী মুন্নি আলম, যুগ্ম মহাসচিব মনির জামান ও সদস্য হরিদাস সরকার আরো বলেন,  নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি ১২ বছর ধরে দাবি জানিয়ে আসছে প্রমাণিত ধর্ষকের ৩ মাসের মধ্যে ফাঁসি দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে, যা অতিতের ফ্যাসিস্ট সরকার যেমন আমলে নেয়নি, অর্ন্তবর্তী সরকারও নিচ্ছে না। যে কারণে আছিয়াসহ বিভিন্ন ধর্ষণের ঘটনার পরও কঠো পদক্ষেপ না নেয়ায় একের পর এক নারী ধর্ষণ-নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে। যা বন্ধে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের পরিচালিত বাংলাদেশে।

ঝিকরগাছা পৌরসভার ২৮তম প্রস্তাবিত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত

 ঝিকরগাছা পৌরসভার ২৮তম প্রস্তাবিত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত


‎‎আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : ‎যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের ২৮তম প্রস্তাবিত বাজেট সভা- ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‎এবারের পৌরসভার প্রস্তাবিত বাজেট ধরা হয়েছে ৯০কোটি ৯৯লক্ষ ৬৮হাজার ৯শত ১৮ টাকা ১২পয়সা। ‎সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার সময় পৌর প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রস্তাবিত বাজেট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভুপালী সরকার। এসময় তিনি বলেন, ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা মিলে আমাদের ঝিকরগাছা উপজেলা গঠিত। মানুষের সেবা পেতে কোন ভোগান্তি মেনে নেওয়া হবে না। প্রতিটি নাগরিকের নাগরিক সেবা দোরগোড়ায় পৌছাতে হবে। প্রতিনিয়ত আমাদের সেবার মান উন্নত করে ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাভিদ সারওয়ারের সভাপতিত্বে ‎এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম মোল্লা, ‎উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার তোফাজ্জেল হোসেন, ‎উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সঞ্জয় ঘোষাল, ‎বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, ‎পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার হাজরা, হিসাব রক্ষক খায়রুল আলম, ‎ঝিকরগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, ‎সিনিয়র সহ সভাপতি আতাউর রহমান জসি, সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুল, তারিক মাহমুদ, আফজাল হোসেন চাঁদ, কেএম ইদ্রিস আলী, পৌর বিএনপি ও পৌর জামায়াতের নেতৃবৃন্দ সহ পৌর কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী সহ আরো অনেকে।

নববর্ষ উৎসব হিসেবে মহররম উদযাপন ইসলামের আদর্শ বিরোধী চক্রান্ত

নববর্ষ উৎসব হিসেবে মহররম উদযাপন ইসলামের আদর্শ বিরোধী চক্রান্ত


নববর্ষ উৎসব হিসেবে মহররম উদযাপন ঈমানী অস্তিত্বের উৎস মহান শাহাদাতে কারবালার চেতনা বিরোধী খারেজি চক্রান্ত। সচেতন বিবেকবান মুমিনগণ কোনো নববর্ষ উদযাপন করেনা অর্থাৎ উৎসব হিসেবে উদযাপন করে না, দোয়া হিসেবে পালন করতে পারে। কোনো নববর্ষে উদযাপনের কিছু নেই, তবে সময়ের পরিক্রমায় জীবন ও ইতিহাসের উপলব্ধির বিষয় আছে।মহররম মুমিন ও বিবেকবান সকল মানুষের হৃদয়ের সীমাহীন শোক ও ঈমানী হৃদয়ের অন্তহীন ব্যাথাভরাক্রান্ত উপলক্ষ, একইসাথে মহররম শাহাদাতে কারবালার লক্ষ্য বাস্তবায়নে শপথের মাস। শোক আর আনন্দ বিপরীত বিষয়।

পালন আর উদযাপন পার্থক্য আছে। কোনো কিছু পালন পক্ষে বিপক্ষে দুই ভাবেই হতে পারে। পালন শোক হিসেবেও হতে পারে। উদযাপন এর বিপরীত।শোক উদযাপন হয় না, পালন হয়। প্রতিবাদ হিসেবেও অনেক দিবস উপলক্ষ পালন হয়। আমরা মুসলিম মিল্লাত ২৩ সেপ্টেম্বর কেবলাভূমিকে অবৈধ “সৌদি আরব” নামকরণ ও সৌদি গোত্রবাদি ওহাবিবাদি মুলুকিয়তের প্রতিষ্ঠা দিবসকে প্রতিবাদ হিসেবে ও উদ্ধারের লক্ষ্যে আঁধার দিবস ইয়াওমে জুলুমাত ডার্ক ডে হিসেবে পালন করি, আর বাতিলরা বিজয় দিবস হিসেবে উদযাপন করে।যে কোনো নতুন সূচনা ও উপলক্ষ দোয়া, এস্তেগফার, নফল নামাজ, সালাতু সালাম ও রহমত কামনা করে পালন করা যায়। 

তবে ইসলাম কোনো বর্ষ ভিত্তিক নয়, বর্ষ পরিক্রমা প্রাকৃতিক। সব দিন মাস বছর পরিক্রমা সব মানুষের জন্যই আল্লাহতাআলার প্রাকৃতিক দান। ইসলামকে কেবল চন্দ্র বর্ষ ভিত্তিক দেখানোর চেষ্টাও ইসলামের বিরুদ্ধ একটা হীন চক্রান্ত। মহররম দোয়ার সাথে শাহাদাতে কারবালার আমানত রক্ষা ও লক্ষ্য বাস্তবায়নের প্রস্তুতি হিসেবে পালন করা যায়। বিগত বছরের জন্য ক্ষমা চাওয়া ও আসন্ন বছরের জন্য রহমত হেফাজত রিজিক সুস্থতা সালামাত কামনা করে, বলা মুসিবত থেকে পানাহ চেয়ে, সারা বছর নিরাপদে হকের জন্য কাজের তৌফিক কামনা করে দোয়া সালাতু সালাম মুনাজাতের মাধ্যমে মহররম এবং যে কোনো বছর মাস দিন শুরু করা যায়। 

ঈমানী হৃদয়ে শাহাদাতে কারবালার অনন্ত মহা কষ্ট ও অসীম বেদনার মহররম আনন্দ উৎসব হিসবে পালন ঈমানের খেলাফ বাতিলের চরিত্র। খারেজি বাতিলরা মহান শাহাদাতে কারবালার শোক- শিক্ষা- চেতনা ও লক্ষ্য আড়াল করে দ্বীন মিল্লাতকে ধ্বংস করার জন্য বিভ্রান্তির হাতিয়ার হিসেবে পহেলা মহররম আনন্দ উৎসব হিসেবে উদযাপন করার ধৃষ্টতা করে। মনে রাখতে হবে, যত ঐতিহাসিক ঘটনাই থাক মহররমের মূল ঈমানী বিষয় কেবলমাত্র কারবালার মহান শাহাদাত। বর্ষ পরিক্রমা ঈমানী বিষয় নয়, প্রাকৃতিক সাধারণ বিষয়; কিন্তু শাহাদাতে কারবালা ঈমান- দ্বীন- মিল্লাত- মানবতার দোজাহানের অস্তিত্বের মহা জরুরী বিষয়। 


লেখক : আল্লামা ইমাম হায়াত প্রতিষ্ঠাতা: বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন, প্রবর্তক : বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব